হোম > ছাপা সংস্করণ

৬ বছর ধরে ঝুলে আছে কারখানা স্থাপন প্রকল্প

রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

দেশেই রেলের ক্যারেজ বা বগি তৈরির জন্য নীলফামারীর সৈয়দপুরে কারখানা স্থাপনের জন্য সরকার ভারতের সঙ্গে ২০১৬ সালে চুক্তি স্বাক্ষর করে। সেই সঙ্গে দুই বছর ধরে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে ক্যারেজ কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কশপের জন্য নির্ধারিত স্থানে সাইনবোর্ড বসানো হয়। তার পর থেকে ঝুলে আছে এ প্রকল্প।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, একসময় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নতুন বগি বা কোচ তৈরি হতো। কিন্তু ১৯৯৩ সালে তৎকালীন সরকার রেল সংকোচন নীতির আওতায় ওই কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এর পর থেকে বগি আমদানি করতে হচ্ছে। এমন আমদানি-নির্ভরতা কমাতে সৈয়দপুরে একটি নতুন কোচ কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান সরকার।

সমীক্ষা অনুযায়ী সৈয়দপুর কারখানার উত্তর পাশে দার্জিলিং গেটসংলগ্ন এলাকায় কোচ তৈরির কারখানা স্থাপনে জায়গা নির্বাচন 
করা হয়। এ জন্য প্রাথমিকভাবে রেলের ২০ একর জমি নেওয়া হয়। ফলে নতুন করে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হয়নি। সূত্র আরও জানায়, ২০১৯ সালের মে মাসে কারখানাটির ধরনের জন্য আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। একই বছর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন নির্ধারিত এলাকাটি পরিদর্শন করেন।

কারখানাটির জন্য সরকার প্রাথমিকভাবে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। বাকি টাকা ঋণের জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। কিন্তু বরাদ্দের সেই টাকা ও ঋণ না পাওয়ায় কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। যার ফলে হতাশ রেলওয়ে কর্মচারীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা দ্রুত কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ে কারিগরি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাবিবর রহমান হাবিব বলেন, ‘জনবলের সংকটে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা ধুঁকে ধুঁকে চলছে। কোচ তৈরির নতুন কারখানা স্থাপনের খবরে রেল কর্মচারীদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল। তাঁরা ভেবেছিলেন তাঁদের ছেলেমেয়েসহ এখানে অনেকের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কাজ শুরু না হওয়ায় আমরা হতাশ।’ 
নীলফামারী চেম্বার অব কমার্সের সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক বলেন, সৈয়দপুর একটি বাণিজ্যিক শহর। নতুন কারখানাটি স্থাপন করা হলে এ অঞ্চলে ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটবে।

যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার বলেন, ‘গত ১০ অক্টোবর প্রকল্পটির ভৌত কাঠামোর সমীক্ষা প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের প্ল্যানিং কমিশনে (পিএলসি) পাঠানো হয়েছে। আশা করছি আগামী অর্থবছরে কোচ কারখানার কাজ শুরু হবে।’

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান জানান, প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে শিগগিরই প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখবে। কারখানাটি স্থাপন হলে আর বগি আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। এতে রাষ্ট্রের অর্থের সাশ্রয় হবে।

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের স্থানীয় সদস্য রাবেয়া আলিম বলেন, ‘নতুন এ কারখানা স্থাপনের বিষয়টি আমি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করব। কাজটি যাতে দ্রুত শুরু হয়, সে জন্য প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করব।’ 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ