সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যায় জড়িয়েছিল সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম। তিনি খাসোগিকে হত্যার অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র। এবার আবারও তাঁর বিরুদ্ধে ‘বিস্ফোরক’ তথ্য দিয়েছেন দেশটির সাবেক জ্যেষ্ঠ ইন্টেলিজেন্স কর্মকর্তা সাদ আল জাবরি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দেশটির সাবেক শাসক বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজকে হত্যা করে তাঁর বাবাকে ক্ষমতায় বসাতে চেয়েছিলেন যুবরাজ। সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে গত রোববার এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সাদ আল জাবরি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তখন ক্ষমতায় ছিলেন বাদশাহ আবদুল্লাহ। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মোহাম্মদ বিন সালমান তখন বাদশাহকে হত্যা করার জন্য রাশিয়া থেকে বিষ মাখানো একটি আংটি আনিয়েছিলেন। করমর্দনের সময় সেই আংটির মাধ্যমে বাদশাহ আবদুল্লাহকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল।
পরের বছর বাদশাহ আবদুল্লাহ মারা গেলে ক্ষমতায় বসেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বাবা সালমান বিন আবদুল আজিজ। এরপর ২০১৭ সালে তিনি ভ্রাতুষ্পুত্র মোহাম্মদ বিন নায়েফকে সরিয়ে নিজের ছেলেকে যুবরাজের আসনে বসান। এর পর থেকেই নায়েফের সঙ্গে মোহাম্মদ বিন সালমানের দ্বন্দ্ব। আল জাবরি মোহাম্মদ বিন নায়েফের উপদেষ্টা ছিলেন।
সাক্ষাৎকারে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে একজন ‘সাইকোপ্যাথ’ হিসেবে উল্লেখ করেন জাবরি। যুবরাজ তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন বলেও জানান। ২০১৮ সালে এ ব্যাপারে তাঁর সহযোগী তাঁকে সতর্ক করেছিলেন। জামাল খাসোগিকে হত্যার পর জাবরিকে সেই সহযোগী বলেন, তাঁর নামও হত্যার তালিকায় রয়েছে।