কলেজছাত্র রিয়াদ হোসেনের মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুই বোনের এক ভাই রিয়াদ হোসেন। গত ৮ ডিসেম্বর এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হয় তার। ছোট বোন রিয়া আক্তার তারই সহপাঠী। আরেক ছোট বোন ফারজানা আক্তার দিয়া চতুর্থ শ্রণিতে পড়ে। বোনদের সঙ্গে আনন্দে সময় কাটাত তার। গত রোববার রাতে বাসের চাপায় রিয়াদের মৃত্যুতে পরিবারে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রিয়াদ হোসেনের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, রিয়াদের পড়ার টেবিল এলোমেলো হয়ে পড়ে আছে।
পড়ার টেবিলের পাশে বাবা মাজু ভূঁইয়া পত্রিকায় সংবাদ পড়ছেন আর কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। এ সময় মাজু ভূঁইয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমার এক ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে রিয়াদ ছিল বড়। আমি সারা জীবন পরিবহন নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার ছেলেই পরিবহনের চাপায় মারা গেল বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন।