রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে পীরগঞ্জে অধিগ্রহণ করা জমি ও অবকাঠামোর মালিকদের মধ্যে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ করা হয়েছে। তবে তাঁরা অর্থের পরিমাণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
হয়রানিরোধে গতকাল শনিবার ‘অন দ্য স্পট’ এই বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসকের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিরোদা রানী রায় পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) খাইরুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাসেক-২ প্রকল্পের অধীনে এ্যালেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। এ জন্য সড়কসংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামের মানুষের জমি এবং অবকাঠামো অধিগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে পীরগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্তদের হয়রানি নিরসনে স্থানীয় সাংসদ ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর নির্দেশে জেলা প্রশাসন উপজেলায় অধিগ্রহণের চেক হস্তান্তর করছে।
চেক পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় খেদমতপুরের রুহুল আমিন, ঘোলা গ্রামের মোশাররফ হোসেন ও উজিরপুরের নাসির হোসেন অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তাঁরা জানান, স্থানীয় বাজার মূল্যের চেয়েও অনেক কম মূল্যে জমি অধিগ্রহণ করায় তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। স্থানীয়ভাবে প্রতি শতক জমি ১ থেকে ২ লাখ টাকা হলেও উজিরপুরে প্রতি শতকে মাত্র ৬ হাজার এবং খেদমতপুরে ১৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। অধিগ্রহণের মূল্য পুনর্বিবেচনার জন্য তাঁরা অনুরোধ করেন।
ইউএনও বিরোদা বলেন, স্পিকার শিরীন শারমিনের নির্দেশে জেলা শহরের পরিবর্তে উপজেলা শহরে ক্ষতিগ্রস্তদের চেক দেওয়া হচ্ছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। এতে সাধারণ মানুষের হয়রানি নিরসন হচ্ছে।