সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে শুরু হয়েছে আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই। আগাম জাতের ব্রি ধান-৮৭ রোপণের ১২৫ দিন পর কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে কাস্তে হাতে ব্যস্ত কৃষকেরা। প্রতি বিঘায় ধান বেশি পাওয়ার সম্ভাবনায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
বাগবাড়ী এলাকার কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমরা এলাকায় ১৫ জন কৃষক ব্রি ধান-৮৭ আবাদ করি। প্রতি বিঘায় প্রায় ২০ মণের বেশি ধান পাব বলে আশা করছি। উপজেলা কৃষি অফিস আগাম জাতের ব্রি ধান-৮৭ বীজ, সার, টাকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে। এ ধরনের ধান চাষে কৃষক অনেক লাভবান হবে। কারণ, এ ধান কাটার পরেই সরিষার আবাদ শুরু করতে পারব।’
গতকাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, চলতি মাসের ৬ অক্টোবর আমনের উচ্চ ফলনশীল আগাম জাতের ধান কাটার উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ধানের ফলন ও ভালো দরে চাষিরা বেশ খুশি। আগাম জাতের ব্রি-৮৭ জাতের ধান রোপণ করেছিলেন কৃষক। এ ধানের জীবনকাল ১২৫ দিন। ধানের ভালো ফলন নিশ্চিতে কৃষকদের বীজ দেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ার হয়েছে।
আনোয়ার সাদাত আরও জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলাতে ২৮০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। হেক্টরপ্রতি এ ধানের ফলনের পরিমাণ ৫ দশমিক ৬ মেট্রিক টন। যা থেকে প্রায় ১ হাজার ৫৬৮ মেট্রিক টন ধান পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।