নীলফামারীর সৈয়দপুরে গার্মেন্টসের ঝুট কাপড়ের লেপের কভার সেলাই করে ভাগ্য বদলেছে কয়েক হাজার নারী-পুরুষের। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনার ফাঁকে এ কাজ করে বাড়তি আয় করছে। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি পরিবারে লেগেছে সচ্ছলতার ছোঁয়া। এ সব পরিবারের সদস্যদের প্রায় সবাই এখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর শহরের ইসলামবাগ, রসুলপুর, গোলাহাট, বাঁশবাড়ি মিস্ত্রি পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক লেপের কভার তৈরির কারখানা। আর এই কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৫ হাজার নারী-পুরুষ। এখানকার তৈরি ঝুট কাপড়ের লেপের কভারের চাহিদা রয়েছে সারা দেশেই।
প্রতি শীত মৌসুমে রাজধানী ঢাকা, কুমিল্লা, পাবনা, শরীয়তপুর, যশোর, জয়পুরহাট, নওগাঁ বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা এসে ঝুটের লেপের কভার কিনে নিয়ে যান। প্রতি শীতে উপজেলায় এক থেকে দেড় শ কোটি টাকার লেপের কভার বিক্রি হয়ে থাকে বলে জানা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ঘরে দিন-রাত চলছে সেলাই মেশিন। এক টুকরো ঝুট কাপড়ের সঙ্গে আরেক টুকরোর জোড়া লাগিয়ে তৈরি করা হচ্ছে লেপের কভার।
ইসলাম এলাকার বাসিন্দা আকবর আলী জানান, তিনি আগে রিকশা চালতেন। ঝুট কাপড়ের ব্যবসা শুরু করার পর ভাগ্য ফিরেছে তাঁর।
গোলাহাট এলাকার স্কুলছাত্রী মিথিলা পারভীন ও মিফতাহুল জান্নাত জানান, অবসরে লেপের কভার সেলাই করে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আয় হয়। তা দিয়ে নিজের লেখাপড়ার খরচের পাশাপাশি বাবা-মাকে সংসারে সাহায্য করে তারা।
ব্যবসায়ী রফিফুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার আমাদের দিকে সুনজর দিলে আমরা এই খাতে অনেক লোকের কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারব।’
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম হুসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি কর্মস্থলে নবাগত। এ সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।’