কুমিল্লায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত কাউন্সিলর সোহেলের পরিবারের সদস্যদের কান্না থামছেই না। ঘটনার দুই দিনেও সন্তানেরা বিশ্বাস করতে পারছে না তাঁদের বাবা আর বাড়িতে ফিরবেন না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তাঁদের বাবা সত্যি আর ফিরবেন না। এই সত্য মেনে নিয়ে বিচারের দাবি সন্তানদের কণ্ঠে।
মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেতার নির্মম মৃত্যুতে হতবাক সবাই। কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে গতকালও এলাকাবাসীদের কাঁদতে দেখা গেছে। প্রতিবেশী, স্বজন ও কাউন্সিলর সোহেলের পরিবারের সদস্যদের একটাই দাবি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
নিহত কাউন্সিলর মো. সোহেল সুজানগর এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে। ছয় ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।
কাউন্সিলর সোহেলের বড় ছেলে সৈয়দ নাদিম বলেন, ‘বাবার খুনিদের বিচারে সবার সহযোগিতা চাই। খুনিদের বিচার না হলে পরবর্তীতে এমন ঘটনা বাড়তে থাকবে। এর থেকে কেউ রেহায় পাবেন না।’
কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মুনতাহা বলেন, ‘সহসাই বাবার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। আমাদের একটাই চাওয়া বাবার খুনিদের যেন ফাঁসি হয়।’
গত ২২ নভেম্বর সোমবার বিকালে কুমিল্লা সিটি কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মো. সোহেল ও সদস্য হরিপদ সাহাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।