‘আমার বাবা খুবই গরিব। সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়। তাই নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে আমি ট্রাক চালিয়েছি। আবার ডিমের হ্যাচারিতেও কাজ করেছি।’ কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করতে বলায়, গত বুধবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাট পুলিশ লাইনস ড্রিলশেডে এসব কথা বলেন, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার জালালপুর গ্রামের আখতারুজ্জামানের ছেলে মো. সিহাব।
কেবল সিহাব নন, কনস্টেবল পদে ১০৩ টাকা খরচ করে জয়পুরহাট জেলায় চূড়ান্তভাবে মনোনীত হয়েছেন মোট ১৯ জন। এর মধ্যে তিনজন রয়েছেন আক্কেলপুর উপজেলার। নিয়োগপ্রাপ্তদের অধিকাংশই গরিব ও অসহায় পরিবারের। কোনো তদবির ও ঘুষ ছাড়াই চাকরি পাওয়ায় তাঁরা বেশ উৎফুল্ল।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষায় জয়পুরহাট জেলায় ৫৭০ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছিলেন। ১৪ নভেম্বর জয়পুরহাট পুলিশ লাইনসে নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়। তাঁদের মধ্যে ৪৫ জন উত্তীর্ণ হন। গত বুধবার ভাইভা পরীক্ষা শেষে ১৯ জন টিকে যান। এই ১৯ জনের মধ্যে তিনজন নারী ও ১৬ জন পুরুষ। অপেক্ষমাণদের তালিকায় রাখা হয়েছে একজন নারীসহ মোট পাঁচজনকে। নিয়োগপ্রাপ্ত ১৯ জনের মধ্যে ৯ জনের মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফল জিপিএ-৫।
গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জয়পুরহাট পুলিশ লাইনস ড্রিলশেডে কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণ অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা পাঁচজনসহ মোট ২৪ জন ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মদ ভূঞা তাঁদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।