কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজুখাল সেতু এলাকায় প্রতিনিয়ত দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন দেখা গেছে, গত সোমবার বিকেল ৫টা থেকে ৩ ঘণ্টা যানজট ছিল রেজুখাল সেতু এলাকায়। এতে সেতুর দুই পাশে আটকা পড়ে কয়েক শ যানবাহন।
সরেজমিন দেখা গেছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের (৩৪ বিজিবি) রেজুখাল চেকপোস্ট রয়েছে সেতুটির রামু উপজেলা অংশে। সেখানে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার অভিমুখী যানবাহনগুলো তল্লাশি করেন বিজিবি সদস্যরা।
অভিযোগ রয়েছে, তল্লাশিতে বিলম্ব হওয়ায় যানজটে পড়তে হয় পর্যটকদের।
চেকপোস্টের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সেখানে কর্মরত বিজিবির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাঁরা তল্লাশিতে ব্যস্ত বলে জানান।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির এক সদস্য বলেন, ‘যেহেতু এখন পর্যটন মৌসুম, তাই যানবাহনের চাপ বেশি। মাদক পাচারকারীরা পর্যটকদের ভিড়ের ফায়দা নিয়ে এই রোড দিয়ে মাদক পাচার করেন। শুধু মাদক না, মাত্র তিন দিন আগে (৭ জানুয়ারি) এই চেকপোস্টে ৫৭ ভরি স্বর্ণের বারসহ একজনকে আটক করা হয়।’
মেরিনড্রাইভ উখিয়া ও রামু উপজেলার সংযোগ সড়ক হিসেবে তৈরি করা হয়। আর মেরিনড্রাইভের রেজুখাল সেতু হয়ে কক্সবাজার থেকে টেকনাফের সাবরাং জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত দৈনিক যাতায়াত করে পর্যটকবাহী জিপ, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশাসহ হাজারো যানবাহন।
এই সড়কটি কক্সবাজার শহর, দরিয়া নগর, হিমছড়ি, ইনানী সৈকত, পাটোয়ার টেক, টেকনাফসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে যান পর্যটকেরা। তবে যানজটে পর্যটকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
ঢাকার কল্যাণপুর থেকে কক্সবাজার বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন (৪০) বলেন, ‘আমরা ইনানী গিয়েছিলাম। এখনো জ্যামে আটকা আছি। সামনে চেকপোস্টের তল্লাশিতে দেরি হচ্ছে বলেই এ সমস্যা। রাত ৯টায় ঢাকার বাস। জানি না পৌঁছাতে পারব কি না।’
এই সড়কে নিয়মিত যাতায়াত করা উখিয়ার জালিয়াপালংয়ের বাসিন্দা সাংবাদিক শামীমুল ইসলাম ফয়সাল বলেন, প্রতিদিনই যানজট তৈরি হয় এই সেতুতে। বিশেষ করে পর্যটন মৌসুমে যানজট বেশি থাকে। বিজিবি চেকপোস্টের সদস্যরা এখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে অপরাধ দমনে কাজ করছেন। তারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।
তবে যানজট নিরসনে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনায় বিজিবির চেকপোস্টে তল্লাশি করা প্রয়োজন। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে মনে করেন স্থানীয় এই সাংবাদিক।