সুন্দরবন থেকে ১০ জন হরিণ শিকারিকে আটক করেছে বনপ্রহরীরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৬০ কেজি হরিণের মাংস, ৪টি হরিণের শিং, ৩০০ মিটার হরিণ ধরার ফাঁদ, ১টি তক্ষক, ৪টি ডিঙি নৌকা জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গত রোববার বন্যপ্রাণী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে তাদেরকে বিকেলে কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শুক্রবার বিকেল ৪টায় সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের কালাবগি স্টেশন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও ভদ্রা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল পাশার নেতৃত্বে রাসপূজার একটি বিশেষ টহল দল তাদেরকে আটক করে। ভদ্রা টহল ফাঁড়ির আওতাধীন সুন্দরবনের ১৬ নম্বর কম্পার্টমেন্টের পশুর নদীর পশ্চিম পাড় থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন রামপাল উপজেলার বৃচাকশ্রী এলাকার শেখ নিজাম, শেখ দিদার, রাসেল ফকির, আবদুল সোবাহান শেখ, আফ্রিদি, শেখ গোলাম মাওলা, ভোজপতিয়ার জিয়া শেখ, বড় কাটালীর শামিম খান, বাঁশতলির রাজ ও আবদুল নাঈম। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভদ্রা টহল ফাঁড়িতে বন্যপ্রাণী আইনে পিওআর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) আবু সালেহ বলেন, আটক ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের চোরাপুটিয়া টহল ফাঁড়ির ৯ নম্বর কম্পার্টমেন্টের কানার মাথার উত্তর পাড়ের কেওড়া বাগানে হরিণ শিকার ও জবাই করার আলামত পাওয়া গেছে। মামলা দায়েরের পর তাদেরকে খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।