মুলাদীতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ চর ডাকাতিয়া গ্রামের খলিল মোল্লার নেতৃত্বে কিছু ব্যক্তি জমিতে পাকা ঘরের কাজ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। গতকাল সকালে এই ঘটনা ঘটে।
জমি দখলের সংবাদ পেয়ে মুলাদী থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘর নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পুলিশ চলে আসার পর দখলকারীরা পুনরায় কাজ শুরু করেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
জমিটির ভোগদখলকারী দেলোয়ার হোসেন সিকদার বলেন, ‘দক্ষিণ চরডাকাতিয়া মৌজায় আমাদের পূর্বপুরুষেরা এওয়াজ বদলের মাধ্যমে দুটি জমি ভোগদখল করে আসছিলেন। পরে এওয়াজ বদল বাতিল করে যে যার জমিতে ভোগদখলে চলে যাই। ২০১৭ সালে খলিল মোল্লা এবং ইব্রাহিম মোল্লা আমাদের জমির মধ্যে ৪০ শতাংশ দাবি করেন। বিষয়টি নিয়ে ওই বছরই আদালতে মামলা করি।’
দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, জমি নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কায় আদালত ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সে থেকে জমিতে কেউ ঘর উত্তোলন কিংবা কাজ করছে না। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে খলিল মোল্লা ও তাঁর ভাই ইব্রাহিম মোল্লা দেড় শতাধিক লোক নিয়ে ওই জমিতে যান। তারা শতাধিক কলাগাছ, ফলদ ও বনজ গাছ কেটে সেখানে পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করেন। উপায়ন্তর না দেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। পুলিশ চলে যাওয়ায় পুনরায় ঘর বানানোর কাজ শুরু করে প্রতিপক্ষ।
এ ব্যাপারে খলিল মোল্লা কিংবা ইব্রাহিম মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সহকারী উপপরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘ওই জমিতে ঘর উত্তোলন কিংবা কোনো কাজ করার বিষয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জমি দখলের সংবাদ পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর পরে আবার কাজ শুরু করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, জোরপূর্বক জমি দখলের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।