কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় পঞ্চগড়ের বোদায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতে সামর্থ্যবানেরা মোটা কাপড় পরতে পারলেও অসহায় মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
বোদাসহ পঞ্চগড় জেলায় কয়েক দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ খুব একটা বের হচ্ছেন না। এতে নিম্নআয়ের মানুষ বিপাকে পড়ছেন।
উপজেলার নাজিরপাড়া এলাকার বাসিন্দা ভ্যানচালক বেলাল জানান, ঠান্ডার কারণে খুব অসুবিধায় আছি। ভাড়া তেমন নেই। অন্যান্য সময় দিনে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা আয় হতো কিন্তু ঠান্ডার কারণে মানুষ ভ্যানে চড়তে চান না। এখন ২০০ টাকা আয় করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বোদার একটি ক্লিনিকের কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঠান্ডার কারণে অফিসে আসার ইচ্ছে হচ্ছে না। সকাল বেলা অফিসে এলে শিশিরে শরীর ভিজে যায়। রাতে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়ে।’
বোদার বেংহারী ইউনিয়নের প্রধানপাড়া হাসিনা বেগম বলেন, ‘প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে আমরা খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি।’
অন্যদিকে শীতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনেই হাসপাতাল-ক্লিনিকে এসব রোগীর চিকিৎসা নিতে দেখা যাচ্ছে।
বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রাজিউর করিম জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি এ সময় প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ করেন।
বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোলেমান আলী বলেন, ‘জেলা প্রশাসন থেকে শীত বস্ত্র ও নগদ কিছু টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তা বিলি করা হচ্ছে। নতুন করে আরও শীতবস্ত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে।’