নবীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর গৃহবধু রাজনা বেগমের হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তাঁর স্বামী ও মামলার প্রধান আসামি জাকারিয়া আহমদ। গত শনিবার বিকেলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকেরোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
এদিন রাত ৯টার দিকে নবীগঞ্জ থানা-পুলিশ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। । যৌতুকের টাকার জন্য তাঁকে হত্যা করেন বলে জানান।
পুলিশ লিখিত বক্তব্যে জানায়, ৩১ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারের এক বাসা থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। রাজনা বেগম ওই ইউনিয়নের বড় আলীপুর গ্রামের জাকারিয়া মিয়ার স্ত্রী ও পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের মৃত আ. রহিমের মেয়ে।
প্রায় ৬ মাস আগে জাকারিয়া মিয়ার সঙ্গে রাজনা বেগমের বিয়ে হয়। গত ১০ থেকে ১২ দিন আগে ওই দম্পতি রসুলগঞ্জ বাজারের সফিক মিয়ার মালিকানাধীন একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। সোমবার বিকেলে গৃহবধূর মা তাঁকে দেখতে ভাড়া বাসায় যান। এ সময় ডাকাডাকি করেও তাঁর কোনো সাড়া না পায় না। এ সময় দরজার ফাঁকে উঁকি দিয়ে মেয়ের রক্তাক্ত দেহ বিছানার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। এ ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী নিখোঁজ ছিলেন।
গতকাল শুক্রবার হত্যা মামলায় স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তাররা হলেন নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বড় আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও রাজনার স্বামী জাকারিয়া মিয়া (২৫), সফিক মিয়া চৌধুরী (৫৬) ও তাঁর ছেলে আকরাম চৌধুরী মাসুম (২১)।