গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার আদেপাশা এলাকায় মোসা. সাহেরা বেগম (৬০) নামের এক নারী খুন হওয়ার দেড় বছর পর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। নিহত সাহেরার বাসার বুয়ার ছেলেসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করার পর এ রহস্য উদ্ঘাটন করে পিবিআই। নিহত সাহেরার প্রবাসী ছেলের পাঠানো স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করতেই তাঁকে হত্যা করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া পশ্চিমপাড়া (মাটির মসজিদ) এলাকার মো. আল আমিন (২৬) এবং গাজীপুর মহানগরীর আদেপাশা উত্তরপাড়ার মো. মামুনুর রশীদ (৩৮)। তাঁদের মধ্যে আল আমিনকে গত বুধবার এবং মামুনুর রশীদকে গতকাল ভোরে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল তাঁরা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
গাজীপুর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান গতকাল বিকেলে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, সাহেরা বেগম তাঁর সৌদি আরবপ্রবাসী ছেলে বাবুলের মেয়ে সারা মনিকে (৩) নিয়ে আদেপাশা উত্তরপাড়ায় নিজ বাড়িতে থাকতেন। ২০২০ সালের গত ২৫ আগস্ট দুপুরে মাকে মোবাইল ফোনে পাননি বাবুল। পরে প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানিয়ে তাঁদের বাড়িতে খোঁজ নিতে বললে প্রতিবেশীরা গিয়ে সাহেরা বেগমকে ডাকাডাকি করেন।
পুলিশ সুপার বলেন, কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়ির মেইন গেট তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। পরে তাঁরা ভেতরে গিয়ে সাহেরার লাশ দেখেন।
মাকছুদের রহমান বলেন, এ ঘটনায় নিহত সাহেরার মেয়ে পারভীন আক্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি বাসন থানা-পুলিশ প্রায় এক বছর তদন্ত করে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন না হওয়ায় মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তদন্তকালে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।