কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদেশি জাতের ব্ল্যাক রাইচ বা কালো ধান চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন কলেজপড়ুয়া দুই তরুণ। গতানুগতিক ধারার বাইরে বিদেশি জাতের এ ধান উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় তাঁদের দেখাদেখি এলাকার চাষিরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তাঁরাও বীজ সংগ্রহ করে ভবিষ্যতে এ জাতের ধান চাষ করবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভুরকাপাড়া ও বালিরদিয়াড় এলাকার কলেজপড়ুয়া দুই তরুণ আমল হোসেন ও পারভেজ আলী করোনাকালে ঘরে বসে না থেকে গবেষণা করে ভিয়েতনাম ব্ল্যাক রাইচ ও ইন্দোনেশিয়া ব্ল্যাক রাইচ জাতের ধানের বীজ সংগ্রহ করেন। ১ হাজার টাকা কেজি দরে বীজ সংগ্রহ করে তাঁরা দুই বিঘা জমিতে কালো জাতের এ ধান রোপণ করেন। মাত্র ১০০ দিনের ব্যবধানে তাঁরা প্রতি বিঘায় ২০ মণ করে ধান সংগ্রহ করেন। এ জাতের ধান সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এবং এলাকার কৃষকদের সুবিধার্থে মাত্র ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করে প্রতি বিঘা থেকে ৫ লাখেরও বেশি টাকার বীজ বিক্রয় করতে পারবেন এমন আশা তাঁদের। ইতিমধ্যে তাঁরা বীজ বিক্রয় করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন।
তরুণ চাষি আমল হোসেন জানান, পরীক্ষামূলকভাবে এ জাতের ধান চাষ করে তিনি সফল হয়েছেন। বিঘাপ্রতি ২০ মণ করে ধান পেয়েছেন। বীজ হিসেবে এসব ধান এলাকার কৃষকদের মাঝে বিক্রি করছেন।
এলাকার কৃষক আমির ফরাজি বলেন, ‘তরুণদের দেখাদেখি অন্য কৃষকেরাও এ জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।’
এ বিষয়ে দৌলতপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান জানান, বিদেশি এ জাতের ধান এলাকায় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ ওই দুই তরুণকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করছেন।