হোম > ছাপা সংস্করণ

নিত্যপণ্যের দামে মানুষের নাভিশ্বাস

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি

ভোজ্যতেল, চাল, চিনি, মুরগিসহ বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। তেমনি বেড়েছে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দামও। এতে বেকায়দায় পড়েছেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার অলিগলির ছোট ছোট রেস্তোরাঁ ও টং দোকানিরা। কারণ তাঁরা নিজেদের বানানো খাবারের বাড়তি দাম ভোক্তাদের কাছ থেকে আদায় করতে পারছেন না। গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো লাভ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

উপজেলায় কয়টি এমন রেস্তোরাঁ রয়েছে তার সঠিক হিসাব নেই। তবে ১ পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে ছোট-বড় মিলিয়ে আনুমানিক তিন শতাধিক রেস্তোরাঁ রয়েছে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব রেস্তোরাঁর ক্রেতা মূলত নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। দুপুরের খাবার ও সকালের নাস্তার জন্য তাঁরা দোকানগুলোতে ভিড় করেন।

রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দোকানিরা বাড়তি দাম নেওয়ার চেষ্টা করছেন না, এমনটা নয়। বরং বাড়তি দাম চাওয়ায় অনেক ক্রেতা আসছেন না। কথা কাটাকাটির ঘটনাও ঘটছে। ফলে লাভ কম হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী দুপুরের খাবার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, এলপি গ্যাস, সয়াবিন তেল, চিনি, কনডেন্সড মিল্ক, ময়দা, মোটা চাল, মুরগি, গুঁড়া দুধ, খোলা চা পাতাসহ তাঁদের ব্যবহৃত সব পণ্যেরই দাম আগের চাইতে বেড়েছে।

চৌদ্দগ্রাম বাজারের আল মক্কা হোটেলের মালিক মনিরুজ্জামান বলেন, তাঁর রেস্তোরাঁয় দুপুরে নিম্ন আয়ের মানুষ খেতে আসেন। তিনি সুলভমূল্যে খাবারের দাম রাখায় তাঁর সুনাম ছিল। কিন্তু বর্তমানে সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় পড়েছেন বিপাকে। ক্রেতাদের থেকে বাড়তি দাম আদায় করতে পারছেন না। এজন্য দুপুরে ভাত বিক্রি বন্ধ রেখেছেন তিনি।

ওয়াপদা রোডের হোটেল ব্যবসায়ী মো. মাছুম বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ার আগে প্রতিদিন আমার দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আয় হতো। কিন্তু বর্তমানে লাভ রাখাটাই চ্যালেঞ্জ। ক্রেতাদের থেকে বাড়তি দাম নেওয়া যাচ্ছে না। কারণ এ হোটেলে নিম্ন আয়ের মানুষ আসে। পরোটার উপকরণের দাম বাড়লেও এখনো পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে দোকান ভাড়া এবং কর্মীর বেতন দিয়ে প্রায় সময় লোকসান গুনতে হচ্ছে।’

জামে মসজিদ রোডের এয়াছিন টি স্টলের মালিক মো. এয়াছিন বলেন, ‘চিনি, চা পাতা ও কনডেন্সড মিল্কের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো চায়ের দাম বাড়াতে পারিনি। ফলে সামান্য আয় দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘পণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষ ও হোটেল ব্যবসায়ীদের কষ্ট হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। এরপরেও কোনো ব্যবসায়ী সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দাম আরও বাড়ালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ