নোয়াখালীর হাতিয়া শিম চাষের জন্য বরাবরই প্রসিদ্ধ। প্রায় এক দশকে এখানে শিম চাষ বেশ বেড়েছে। শিমের ফলন এবার অনেক ভালো হয়েছে। এখানকার শিম স্থানীয় বাজার হয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। পাইকারেরা এসে স্থানীয় বাজার থেকে শিম কিনে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যান।
ভোলার চরফ্যাশন থেকে এসে গত ১২ বছর ধরে এই চরে বসবাস করেন কৃষক ওমর ফারুখ (৫৮)। ফারুখের বাড়ি চানন্দী ইউনিয়নের হেমায়েতপুর গ্রামে। আলাপকালে ফারুখ জানান, গত ১০ বছর ধরে শিম চাষ করে আসছেন। ধানসহ অন্যান্য শস্যের চেয়ে শিম চাষে মনোযোগী তিনি বেশি। এবার দুই একর জমিতে শিম চাষ করেছেন। খেতে থাকা শিম এখনো পুরোপুরি বিক্রির উপযোগী হয়নি। তবু গত এক সপ্তাহে ৩০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে এবারও ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার শিম বিক্রি করা যাবে বলে আশা করছেন তিনি।
হেমায়েতপুর গ্রামের সবচেয়ে কয়েকজন বড় শিম চাষির মধ্যে একজন মো.লোকমান (৩৯)। লোকমান জানান, নিজের দুই একর ও বন্দক নিয়ে আরও দুই একর জমিতে শিম চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে শেষ সময়ে বৃষ্টির কারণে শিমের ফুলের কিছু ক্ষতি হয়। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় ফলন ভালো হওয়ায় খুশি তিনি।
লোকমান আরও জানান, এবার বৃষ্টির কারণে কৃষক অন্যান্য সবজি চাষে ভালো করতে পারেনি। তাই বাজারে শিমের মূল্য ভালো পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি শিম স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। আর বিচি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। গত বছরের ফলন অনুযায়ী এবারও চার একর জমি থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
সপ্তাহে রবি ও বৃহস্পতিবার দুদিন বসে চানন্দী ইউনিয়নের কালাদুর হাট। সরেজমিন গত রোববার কালাদুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, শিমের বিশাল হাট বসেছে। দুপুরের পর থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পাইকারেরা কেনা শিম বস্তাবন্দী করছেন।