বৃহত্তর কুমিল্লা জেলায় প্রাণিসম্পদের কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও বার্ষিক মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় উপস্থাপন করা বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমের ফলে জেলা থেকে জাতীয় অর্থনীতিতে প্রতিবছর ৯০ লাখ গাভি সংযোজন হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রজননে সফলতার হার হিসেবে প্রতি বছর ৩৬ লাখ বাছুর উৎপাদন হচ্ছে। বছরে অতিরিক্ত মাংস উৎপাদন হচ্ছে ৮৫৫ লাখ কেজি। যার বাজার মূল্য ৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। সভায় কৃত্রিম প্রজনন আরও সহজলভ্য করে সবার জন্য নিরাপদ প্রাণীজ আমিষ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নিরলসভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) অডিটরিয়ামে এ সভার আয়োজন করে জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র কুমিল্লা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনজুর মাহমুদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম ফেরদৌস আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ঢাকার কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের পরিচালক ভবতোষ কান্তি সরকার।
জেলার কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জেলার কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপপরিচালক মো. শাহজামান খান ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফেরদোসী আক্তারের সঞ্চালনায় এ সময় নবীনগর উপজেলার উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফেরদৌস কামাল, জেলা ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ফরহাদ হোসেন ভূঁইয়া, এ আই টেকনিশিয়ান কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেনসহ বৃহত্তর কুমিল্লার প্রাণিসম্পদ কার্যালের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।