কয়রায় কালবৈশাখী ঝড়ে মদিনাবাদ কলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘরের চাল উড়ে গেছে। এ কারণে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে। এতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
জানা গেছে, গত শনিবার রাতে হঠাৎ কালবৈশাখীর ছোবলে বিদ্যালয়ের চাল বাতাসে উড়ে যায়। এর আগে গত ১৫ মে কাল বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরদিন কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস ও কয়রা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন নাহার খাতুন তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করেন।
মদিনাবাদ কলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে স্কুলটিতে সুনামের সাথে শিক্ষার্থীদের পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। এখানে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৫০ জন। ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী নাদিরা সুলতানা বলেন, গত শনিবার স্কুলে সুন্দরভাবে ক্লাস করে বাড়ি যাই। পরের দিন স্কুলের ছাউনি পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির ঘরের ওপর দেখতে পাই। এখন আমাদেরকে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হচ্ছে।
কয়রা মদিনাবাদ কলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম নরুল আমিন নাহিন বলেন, বিদ্যালয়টি ২০১৩ সালে জাতীয়করণের পর কোন ভবন নির্মিত না হওয়ায় ৫ কক্ষ বিশিষ্ট টিনের ছাউনিতে পাঠদান করা হচ্ছিল। হঠাৎ কাল বৈশাখীর ছোবলে পড়ে বিদ্যালয়ের ছাউনি উড়ে যায়। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান করা হচ্ছে। তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টির কারণে ছাত্রছাত্রীরা স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে। আকাশে একটু মেঘ দেখলেই স্কুল ছুটি দিতে হচ্ছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, স্কুলটি দ্রুত মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করা হয়েছে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে ফেরাতে ও ভোগান্তি কমাতে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কক্ষ মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।