চারঘাটে বিনা চাষে রসুন আবাদ কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রতিবছরই বাড়ছে বিনা চাষে রসুনের আবাদ। এ বিষয়ে কৃষি অফিস চাষিদের নানাভাবে পরামর্শ দিচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর বলছে, চারঘাটে বিনা চাষে রসুনের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাম্পার ফলন হচ্ছে। এতে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে উপজেলায় ৩৩০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়েছিল। এর মধ্যে ২৫০ হেক্টর জমিতে চাষ করে এবং বিনা চাষে ৮০ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদ করা হয়। চলতি অর্থ বছরে উপজেলায় রসুন চাষে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। এবার বিনা চাষে ২০০ হেক্টর ও চাষে ১৫০ হেক্টর জমিতে রসুনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান জানান, ২০১৭ সালে নাটোরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে বিনা চাষে রসুন উৎপাদন দেখে তাঁর মধ্যে আগ্রহ জাগে। গত বছর বর্ষা মৌসুম শেষে জমির পানি সরে যাওয়ার পর ৩০ শতাংশ জমিতে কাদার মধ্যেই রসুন ছিটিয়ে দেন। পরে খড় দিয়ে ঢেকে দেন। ওই জমি থেকে উৎপাদন হওয়া রসুন বিক্রি করেন এক লাখ ২৫ হাজার টাকায়। এবার ৪০ শতাংশ জমিতে রসুন চাষ করছেন বলে জানান তিনি।
কৃষকেরা জানান, এ পদ্ধতিতে রসুন চাষে হাল খরচ হয় না। সার ও কীটনাশক কম লাগে। দুই থেকে তিনটি সেচ দিলেই হয়। ফলনও ভালো পাওয়া যায়।
উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের জানান, এবার বিনা চাষ পদ্ধতিতে দুই বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের বিষয়ে আশাবাদী তিনি।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ জানান, অনেক সময় বর্ষার পানি নেমে যেতে বেশি সময় নিলে রসুন আবাদ এক-দেড় মাস পিছিয়ে যেতে হয়। এ ক্ষেত্রে সামান্য কাদার ওপর রসুন লাগালে সময়সীমা এ গিয়ে আসে। ফলনও ভালো হয়।