মাগুরার মহম্মদপুরে তিন মাস না যেতেই মধুমতী নদীর তীরে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। উপজেলার হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের প্রায় ১৫টি বসত বাড়ি কয়েক দিনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ওই গ্রামের আরও অসংখ্য বাড়িসহ বেশ কিছু স্থাপনা।
সরেজমিনে গত রোববার সকালে দেখা গেছে, হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম, মো. ফরিদ আহম্মদ, মো. আক্কাচ আলী, হাফেজ মো. আহম্মদ আলী, মো. নুর আলী, মো. শাহাদত, মো. শহিদুলসহ অনেকে তাঁদের শেষ সম্বল বসতঘর ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছেন। বাড়ির গাছপালা কেটে সরিয়ে নিচ্ছেন। নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, পানি কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে নদীভাঙন বাড়ছে। নদী ভাঙন রূপ ধারণ করায় তীরে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে শাহাদত মোল্যা, ইবাদত মোল্যা, রমজান মিয়া, নান্নু, মৃদুল শেখ, মন্নু শেষ, পান্নু ও সলেমান শেখের বাড়ি। এ ছাড়া নদী তীরবর্তী চরপাচুড়িয়া, মহেষপুর, কাশিপুর, ভোলানাথপুর, আড়মাঝি, হরেকৃষ্ণপুর ও রুইজানি এলাকার মানুষের দিন কাটছে আতঙ্কে।
হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের নিটুর মিয়া, মাফুজার ও রমজান শেখ জানান, তাঁদের এখন কোনো জমিজমা নেই। সব নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। সাতবার ঘর সরিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। এবার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মধুমতী ভাঙন বেড়েছে। এবারও বসতবাড়ি নদীতে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে তালিকা করা হচ্ছে।
মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফের ভাঙনের খবর পেয়েছি। সরেজমিনে লোক পাঠানো হয়েছে। যেহেতু বাজেট নেই। পারমিশনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পারমিশন পেলে কাজ শুরু করা হবে।’