ঝিনাইদহে গত শুক্রবার সকাল থেকেই শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গতকাল রোববারও ঘন কুয়াশার সঙ্গে ছিল থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এতে দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে জেলাবাসীর। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছেন।
গতকাল জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, নদ-নদী, খাল-বিল ও ফসলি জমি। জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হওয়া দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ তাঁদের সাধ্য অনুযায়ী নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছেন গরম কাপড়ে। তবে গরম কাপড় না থাকায় অনেকে হালকা কাপড় পরিধান করে বেরিয়ে পড়েছেন কাজের সন্ধানে। অনেককেই খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
ঝিনাইদহ সদরের নবগঙ্গা নদীর তীরে বসবাসরত নুরুল ইসলাম বলেন, ‘নিজের জমি বলতে আমার কিছুই নেই। নদীর পাড়ে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করি। আমি অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছি। শীতের কাপড়ের অভাবে খুব কষ্টে দিন পার করছি। কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না। কিন্তু শীতের কাপড় না থাকায় ঠান্ডায় কাজকর্ম করে খেতে কষ্ট হচ্ছে।’
জেলা শহরের ওয়াজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের পান দোকানদার শামিম আহম্মেদন বলেন, ‘সকালে ঠান্ডার কারণে দোকানেই আসা যায় না। আবার দোকান খুললেও শীতের কারণে বিক্রেতা শূন্য অবস্থায় বসে থাকতে হয়।
সাবিব মিয়া নামের এক যুবক বলেন, ‘প্রচণ্ড শীতে সবাই কাবু হয়ে পড়েছেন। রাস্তার পাশে দেখি খড়-কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন কয়েক ব্যক্তি, এটা দেখে আমিও আগুনের কাছে এসে দাঁড়ালাম।’
জেলা আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকালের মতো আজ সোমবারও জেলায় বিরূপ আবহাওয়া থাকতে পারে। এ সময়ে জেলায় ঘন কুয়াশা দেখা যাবে। হতে পারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও। সূর্যের দেখা নাও মিলতে পারে। আরও জানা গেছে, দু-এক দিনের মধ্যে মেঘ কেটে যাবে। সেই সঙ্গে কুয়াশা পরিস্থিতিরও উন্নতি হবে।