বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের শ্যামবাগাত গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে আরিফা বেগম (১৮) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে স্বামী মোহাম্মদ হেলালের (২৫) বিরুদ্ধে। নিহত আরিফা বেগম ফকিরহাট উপজেলার ধনপোতা এলাকার মোহাম্মদ আয়ুব আলি শেখের মেয়ে। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ফকিরহাট উপজেলার শ্যামবাগাত এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত আরিফা বেগমের মা আমেনা জানান, আরিফা ২০১৩ সালে প্রেমের সম্পর্কের জড়িয়ে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হেলালকে বিয়ে করেন। তাঁদের সংসারে ১৩ মাস বয়সী একটি পুত্র সন্তান আছে। তাঁরা খুলনা শহরে বাসা ভাড়া থাকতেন।
নিহতের বাবা মোহাম্মদ আয়ুব আলি শেখ বলেন, তাঁর মেয়েকে প্রায়ই স্বামী মারধর করত। গত শুক্রবার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে শিশু সন্তানকে নিয়ে শ্যামবাগাত এলাকার আব্দুল মান্নানের ভাড়া বাড়িতে ওঠেন।
নিহত আরিফা বেগমের পাশের ভাড়াটিয়া আঞ্জুমান আরা বেগম ও স্থানীয়রা জানান, তাঁর স্বামী হেলাল গতকাল এখানে এসে ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে আরিফা বেগমকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ মোহাম্মাদ খায়রুল আনাম বলেন, এ ঘটনায় থানা-পুলিশ হেলালের মা লিপি বেগমকে এবং আমেনার সতিন নুরজাহান বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যার কারণ তদন্ত, উদ্ঘাটন ও অভিযুক্ত মোহাম্মদ হেলালকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিনো হয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদ হেলাল, হেলালের মা লিপি বেগমকে এবং আমেনার সতিন নুরজাহান বেগমকে আসামি করে ফকিরহাট থানায় মামলা দায়ের করেছেন আরিফার মা আমেনা বেগম। দুপুরে ফকিরহাট থানা-পুলিশ হেলালের মা লিপি বেগমকে এবং আমেনার সতিন নুরজাহান বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার নুরজাহানের বাড়ি ফকিরহাট উপজেলার নিকলাপুর এলাকায়। সে আমেনা বেগমের দ্বিতীয় স্বামীর বড় বউ।