করোনার সংক্রমণ রোধে বিশ্বের দীর্ঘতম লকডাউনে যাওয়ার প্রায় দুই বছর পর গতকাল বুধবার ভারতের মহারাষ্ট্র, কাশ্মীরসহ বিভিন্ন রাজ্যে স্কুলে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। সংক্রমণের হার কমে আসায় বিধিনিষেধ কাটিয়ে আবারও স্বাভাবিকে ফিরতে শুরু করেছে দেশটি।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত টানা তৃতীয় দিনের মতো ১০ হাজারের নিচে রয়েছে ভারতের দৈনিক করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আগে গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে সর্বশেষ এ সংখ্যা দেখা গিয়েছিল।
সংক্রমণ কমে আসায় মুম্বাইয়ের স্কুলগুলোও শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে। বেঙ্গালুরুর সেন্ট জনস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সংক্রামক রোগের অধ্যাপক উমা চন্দ্র মৌলি বলেন, টিকা নেওয়া প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও শিশু উভয়ের ওপরই ওমিক্রনের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে হালকা।
ভারত ৯৪ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৭৭ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় এনেছে। এ ছাড়া ১৫-১৮ বছর বয়সী প্রায় ৩ কোটি কিশোর-কিশোরীকে দুই ডোজ টিকা দিয়েছে দেশটি। তবে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হয়নি।
এদিকে গুজরাটে দীর্ঘ বিরতির পর বাজার, দোকানপাট সবকিছু পুরোদমে চালু হয়েছে। আহমেদাবাদের জনপ্রিয় মানেক চকে গত সপ্তাহে কারফিউ তুলে নেওয়ার পর থেকে সেখানেও সব চলছে স্বাভাবিক গতিতেই। একই চিত্র দেশটির অন্য রাজ্যগুলোতেও।
কোচির রাজগিরি কলেজ অব সোশ্যাল সায়েন্সের হেলথ ইকোনমিস্ট রিজো জনের মতে, অর্থনীতিকে আর লকডাউন বা বিধিনিষেধের মধ্যে রাখার কোনো কারণ নেই।