হোম > ছাপা সংস্করণ

এবার কেন্দ্র জটিলতায় আটকে আছে ফল

সীমানা-সংক্রান্ত মামলার ফিতা ডিঙিয়ে ২১ বছর পর ঝিকরগাছা পৌরবাসী আক্ষেপের ভোট দিতে পেরেছে দেড় মাস আগে। ভোটের ফলও সবার জানা। তবু ঘুরে ফিরে সেই মামলা জটিলতা।

এবারের জটিলতা একটি ভোটকেন্দ্র নিয়ে। আর তাতেই আটকে আছে ফল ঘোষণা। ভোট হওয়ার দেড় মাস পার হলেও তাঁরা শপথ নিতে পারেননি। তাই নতুন করে আবার আক্ষেপ জন্ম নিচ্ছে পৌরবাসীর মনে।

যেমনটা বলছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ নূর নবী নামের এক বাসিন্দা। নূর নবী বলেন, ‘২১ বছর পর ভোটের আক্ষেপ মিটল, কিন্তু নতুন জনপ্রতিনিধি তো পেলাম না দেড় মাসেও। আমরা তো মামলা কপালে পৌরসভার বাসিন্দা। আবার না জানি কত বছর আটকে থাকতে হয়।’

গত ১৬ জানুয়ারি ঝিকরগাছা পৌরসভার ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে বর্তমান মেয়র মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল ১ হাজার ২৪৯ ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে আছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান হাসান সামাদ নিপুন ৬ হাজার ১২৬ ভোট পেয়েছেন।

১৪ কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলে জানা গেছে, নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়েছেন মোস্তফা আনোয়ার পাশা জামাল।

জানা গেছে, নির্বাচনের তিন দিন আগে কেন্দ্র পরিবর্তন নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিটের কারণে শেষ সময়ে এসে এ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। ভোটের দিন অধিকাংশ কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হলেও ৫ নম্বর ওয়ার্ড কীর্তিপুর খাদেমুল ইনসান (মহিলা) কেন্দ্রের ফল স্থগিত রাখার নির্দেশ আসে হাইকোর্ট থেকে।

নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্যমতে, নির্বাচনের দিন বিকেলে উচ্চ আদালতের একটি চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়, পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কীর্তিপুর খাদেমুল ইনসান (মহিলা) কেন্দ্রের ফল স্থগিত করতে। চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা ওই রিট আবেদন করেন ওই ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের এজেন্ট বিএনপি নেত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানা।

চার সপ্তাহ পর শুনানি হলে রিটের বাদী আরও শুনানির জন্য আদালতে ফের আবেদন করেন। এতে ঝুলে যায় নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের কার্যক্রম। এরই মধ্যে পরাজিত আরও দুই মেয়র প্রার্থী পুনর্নির্বাচনের অথবা ভোট পুনর্গণনার দাবি করে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন।

৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রিট আবেদনের বিপরীতে হাইকোর্টে, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে নারাজি দিয়েছি। আমি চাই নির্বাচিতরা দায়িত্ব গ্রহণ করুক।’

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের অপর পরাজিত প্রার্থী আরমান হোসেন কীর্তিপুর খাদেমুল ইনসান (মহিলা) কেন্দ্রের অভিযোগ করতে একটি সাদা কাগজে আমার স্বাক্ষর নিয়েছিলেন। পরে সেটা দিয়ে সাবিরা সুলতানা হাইকোর্টে রিট করেন। এ বিষয়ে আমি একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছি থানায়।’

মামলার বাদী সাবিরা সুলতানা বলেন, ‘একবার হয়েছে শুনানি হয়েছে, আবারও হবে। চূড়ান্ত শুনানির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আইনগতভাবে মামলায় যেটা হয় সেটা হবে।’

ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। তবে শুনেছি হাই কোর্টে একটি রিট আবেদনের কারণে দেড় মাস পার হলেও ভোটের ফলের গেজেট হয়নি।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ