মোছা. হালিমা খাতুন (১৬)। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্রী। দুর্ঘটনায় শয্যাশায়ী হয়ে গত দুবছর ধরে তার পড়াশোনা বন্ধ। সে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙা ইউনিয়নের চকদিগা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. কেরামত আলীর মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে নলকূপ থেকে পানি আনার সময় হোঁচট খেয়ে মাটিতে পড়ে বাম পায়ে মারাত্মক আঘাত পায় হালিমা। ধরাধরি করে নিয়ে যাওয়া হয় ঘরে। সেই থেকে হালিমা বিছানায় শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছে। হালিমা অন্যের সহযোগিতা ছাড়া একা হাঁটতে পারছে না। শেষ সম্বল যা ছিল তাই বিক্রি করে দিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করিয়েছেন তার বাবা। স্থানীয় চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানিয়েছেন হালিমার ঊরুর জয়েন্ট থেকে তার বাম পা আলাদা হয়ে গেছে। ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করালে সে আবারও হাঁটতে পারবে এবং মাদ্রাসায় যেতে পারবে।
বাবা কেরামত আলী জানান, ‘আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক। দরিদ্র মানুষ। অর্থাভাবে মেয়েটির উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছি না। স্থানীয় চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানো হলে মেয়েটি হাঁটতে পারবে।’
কেরামত আলী বলেন, চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় চার লাখ টাকা। এত টাকা নেই। এমতাবস্থায় মেয়েটির চিকিৎসার জন্য সমাজের সকল হৃদয়বান মানুষ আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে আসার আকুল আবেদন। সাহায্য পাঠানো ঠিকানা-মো. কেরামত আলী, হিসেব নম্বর-০২০০০০৫০০২০২১, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, পাকুন্দিয়া শাখা, কিশোরগঞ্জ।