হোম > ছাপা সংস্করণ

টাকাপয়সা কুড়িয়ে পেলে করণীয়

মুফতি মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন

প্রশ্ন: মাঝেমধ্যে পথঘাটে টাকাপয়সা, সোনা-গয়নাসহ অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র কুড়িয়ে পাওয়া যায়। এমন সময় আমাদের করণীয় কী?  
ফরহাদ শফি, ঢাকা

উত্তর: রাস্তাঘাটে কুড়িয়ে পাওয়া টাকাপয়সা বা অন্য কোনো জিনিসপত্রের মূল্য যদি এতই কম হয় যে মালিক তা অনুসন্ধান করবে না, তা হলে কোনো গরিব মানুষকে তা সদকা করে দিতে হবে আর যদি অনেক টাকা বা মূল্যবান কোনো বস্তু পাওয়া যায় এবং মালিক এর খোঁজে থাকবে বলে মনে হয়, তাহলে ওই স্থান ও আশপাশ এবং নিকটবর্তী জনসমাগমের স্থানে এক বছর পর্যন্ত টাকা পাওয়ার ঘোষণা দিতে থাকবে এবং প্রকৃত মালিক পাওয়া গেলে তাঁর কাছে তা হস্তান্তর করতে হবে।

ঘোষণাটি এমন স্থানে হতে হবে, যেখানে ঘোষণা দিলে তা মালিকের কাছে পৌঁছাবে বলে প্রবল ধারণা হয়। বিশেষ করে যেখানে পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে ঘোষণা দেওয়া উত্তম। কারণ সাধারণত সম্পদ হারানোর পর সম্পদের মালিক সেখানেই খুঁজে থাকে, যেখানে সে তা হারায়।

আর উদ্ধারকারীর কখনোই উচিত নয়—ওই বস্তু নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করা। উদ্ধারকারী যদি আদালতের নির্দেশ ছাড়া কোনো বস্তু বা প্রাণীর রক্ষণাবেক্ষণে অর্থ ব্যয় করে, তাহলে সে স্বেচ্ছাদানকারী বলে গণ্য হবে। কুড়িয়ে পাওয়া জিনিসের যদি কোনো বৃদ্ধি বা লাভ হয়, তাহলে তাও প্রকৃত 
মালিককে দিয়ে দিতে হবে। (হেদায়া: ২/৪১৭; কানযুদ দাকায়েক: ৩৯৩)

ঘোষণার পর যদি দৃঢ় বিশ্বাস হয় যে মালিক তা আর খুঁজতে আসবে না, তাহলে তা গরিবদের মধ্যে সদকা করে দেবে। মসজিদেও দান করে দেওয়া যাবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া: ৬/৪৪৪, ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়া: ৯/১৯৩)

উত্তর দিয়েছেন
লেখক: মুফতি মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, গবেষণা বিভাগীয় প্রধান, মা’হাদুল ফিকরিল ইসলামি, বসুমতি, গুলশান, ঢাকা।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ