হোম > ছাপা সংস্করণ

সমুদ্রগামী জাহাজ চার বছরে বেড়েছে ৪৫টি

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

দেশের পতাকাবাহী সমুদ্রগামী জাহাজের বহর দীর্ঘ হচ্ছে। স্থানীয় শিল্প গ্রুপগুলো বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরে সমুদ্রগামী জাহাজে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। ২০১৮ সালে সমুদ্রগামী বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা ছিল ৩৬টি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ৮১টিতে।

নৌ বাণিজ্য দপ্তরের তথ্যমতে, বাংলাদেশি পতাকাবাহী সমুদ্রগামী জাহাজের মধ্যে কেএসআরএম গ্রুপের ২৩টি, মেঘনা গ্রুপের ১৬টি, আকিজ গ্রুপের ১০টি, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ৮টি, কর্ণফুলী গ্রুপের ৬টি, ভ্যানগার্ড মেরিটাইম লিমিটেডের ৫টি, বসুন্ধরা গ্রুপের ৪টি, ওরিয়ন অয়েল অ্যান্ড শিপিং লিমিটেডের ১টিসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মোট ৮১টি জাহাজ রয়েছে। আগামী মাসে আরও একটি জাহাজ যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

নৌ বাণিজ্য দপ্তর সূত্র জানায়, সম্প্রতি মেঘনা গ্রুপ একটি নতুন জাহাজের নিবন্ধন নিয়েছে। দেশের এই বৃহৎ শিল্প গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান মার্কেন্টাইল শিপিং ‘মেঘনা প্রোসপার’ নামে বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজটির নিবন্ধন নিয়েছে। জাহাজটির ধারণক্ষমতা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন। এতে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ কোটি ৮৫ লাখ ইউএস ডলার। ১০ ফেব্রুয়ারি নৌ বাণিজ্য দপ্তর মেঘনা প্রোসপার জাহাজটির নিবন্ধন দিয়েছে। নতুন এই জাহাজের মাধ্যমে মেঘনা গ্রুপের বহরে যুক্ত হবে ১৬টি জাহাজ। এর মধ্যে ১৪টি বাল্ক ক্যারিয়ার। ২টি অয়েল/কেমিক্যাল ট্যাংকার।

মেঘনা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মার্কেন্টাইল শিপিংয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু তাহের বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে মেঘনা গ্রুপ ২০১০ সাল থেকে জাহাজ পরিচালনায় যুক্ত রয়েছে। মেঘনা গ্রুপের বহরে রয়েছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী ১৬টি জাহাজ। ২০২২ সালে আরও ৬টি বাল্ক ক্যারিয়ার বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে মেঘনা গ্রুপ। বাল্ক ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ছোট-বড় জাহাজ হিসেবে প্রতিটির গড় মূল্য ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে ১৬টি জাহাজে বর্তমানে মেঘনা গ্রুপের বিনিয়োগ ৪০ কোটি ডলার।

নৌ বাণিজ্য দপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন মো. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (গতকাল) পর্যন্ত বাংলাদেশের পতাকাশোভিত সমুদ্রগামী জাহাজের মোট সংখ্যা ৮১টি। সম্প্রতি আমরা মেঘনা প্রোসপার নামে একটি বাল্ক ক্যারিয়ারের নিবন্ধন দিয়েছি। স্বাধীনতার পর এটি আমাদের দেশের বড় সাফল্য। দেশের পতাকা নিয়ে সমুদ্রগামী জাহাজ বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরে যাচ্ছে এটা আমাদের গর্বের ব্যাপার।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই বছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চসংখ্যক জাহাজ দেশীয় বহরে যুক্ত হয়েছে। এ খাতে এখনো বিনিয়োগের প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রায় ২০ ভাগ পণ্য দেশীয় মালিকানাধীন জাহাজের পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে।’

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেরুল করিম বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের গ্রুপের মোট ২৩টি জাহাজ রয়েছে। আরও সমুদ্রগামী জাহাজ পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে বিশ্ববাজারে জাহাজের দাম অনেক বেশি হওয়ায় আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ