সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত অষ্টম দফায় ৬৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার থেকে এ মামলার আসামিদের সাফাই সাক্ষী ও যুক্তিতর্ক শুরু হবে।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিন এ মামলার সাফাই সাক্ষীর দিন ধার্য রয়েছে।
সূত্র জানায়, আজ সোমবার ৩৪২ ধারা কার্যবিধিতে আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষী গ্রহণ করা হবে।
এর আগে সপ্তম ও অষ্টম দফায় আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলামের জবানবন্দি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা টানা পাঁচ দিন জেরা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, এ মামলার মোট সাক্ষী ৮৩ জন। অষ্টম দফায় এ মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ৬৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
গত বছরের ৩১ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তের পর র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে মামলার ১৫ আসামি কারাগারে রয়েছে।