স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে এক কর্মীকে লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগ নেতার পায়ের জুতা ছুড়ে মারার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তা টক অব দ্য ডিস্ট্রিক্টে পরিণত হয়েছে। নীলফামারীর ডোমারে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি গত বুধবার ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন। একপর্যায়ে মঞ্চের পাশ থেকে এক কর্মী বলে ওঠেন—সুমির বাপ আসছে...।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে কথা বলা বন্ধ করে লাথি মারতে গিয়ে পায়ের জুতা ছুড়ে মারে ওই কর্মীর দিকে। তবু সেই কর্মী বলতে থাকেন, সুমির বাপ আসছে... ওটা কন... ওটা কন। এরপর বক্তা সবার উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘যারা এটা করতে চায়, তাঁদের আমি বলতে চাই। আমি এমপি হতে চাই না, আমি তো মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম না।’
জানা গেছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে উপজেলার চিলাহাটি ভোগডাবুরি এলাকার বাসিন্দা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সরকার ফারহানা সুমির বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানীকে ‘সুমির বাপ’ বলে সম্বোধন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সরকার ফারহানা সুমি বলেন, ‘আমি ২০ সেকেন্ডের ভিডিওটি দেখেছি। তবে কেন কী কারণে জুতা ছুড়ে মারলেন তিনি, এ বিষয়ে আমি অবগত না। যেহেতু ভিডিওটির পুরো অংশ আমি দেখিনি। সেই হিসেবেও আমি এটা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। এটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
এদিকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় উপজেলা চেয়াম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘এই ভিডিওর বিষয়ে কিছু জানি না। এটা বানোয়াট, ভুয়া।’
সেই পোস্টে জুয়েল সরকার নামের একজন মন্তব্য করেন ‘এমন নেতা বাংলাদেশে বিরল...। উনি মানুষকে দিতে দিতে আজ উপজেলা চেয়ারম্যান, উনি নিজের জন্য কিছু রাখে না, সব উজাড় করে দেন। তারই একটা উদাহরণ এটা।’