ঝিকরগাছায় তিন মাস পর ফের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবারও ২০ জনের শরীরে এ ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে ৬৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন যা শতকরা হিসাবে ৫৩ ভাগ। এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় সংক্রমণ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হলেও তেমন কোনো সচেতনতা চোখে পড়েছে না। অধিকাংশই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২০ জনের মধ্যে ৬৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার ৪০ জনকে পরীক্ষা করে ২০ জন করোনা পজিটিভ হন। এর আগে ৪০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে ২০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রশিদুল আলম বলেন, ‘শনাক্তদের করোনার ভ্যারিয়েন্ট জানার জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আক্রান্তেরা সবাই হালকা অসুস্থ হওয়ায় তাঁদের চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সম্মিলনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক কাজী ইদ্রিস আলী বলেন, ‘উপজেলায় করোনার রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলেও আমাদের অধিকাংশের মধ্যে কোনো সচেতনতা নেই। এমনকি অনেকে মাস্কও মুখে দিচ্ছেন না। এর খেসারত সবাইকে দিতে হতে পারে।’
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল হক বলেন, ‘করোনা বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত আছে। মানুষকে সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক ব্যবহারসহ সব বিধি-নিষেধ মেনে চলতে বাধ্য করা হচ্ছে।’