হোম > ছাপা সংস্করণ

ঘুষ ঘুষ আর ঘুষ

সম্পাদকীয়

ঘুষখোর এই কর্মকর্তা যে কথা বলেছেন, সেটাও বিবেচনায় নেওয়া দরকার। আর তাহলেই কেবল স্পষ্ট হবে, সরকারি কাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে কীভাবে ঢুকে পড়েছে ঘুষ সংস্কৃতি। এ ধরনের একটি আবহ থেকে বের হয়ে আসা একেবারেই সহজ নয়।

নীলফামারীর ডিমলায় প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়ার ঘটনাটি নিশ্চয় পাঠক ভুলে যাননি। আত্মপক্ষ সমর্থন করে কী বলেছিলেন ঘুষখোর এই অফিসার? ঘুষ গ্রহণের কথা স্বীকার করে তিনি বলেছিলেন, ‘ট্রেজারি ও অডিট শাখায় কিছু টাকা দেওয়া লাগে। হিসাবরক্ষণ অফিস আর অডিট কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া হয়। ঘুষ লেনদেন অনেক আগে থেকেই চলমান। আমি হুট করে কি এটা বন্ধ করতে পারি? বিভিন্ন খাতে ঘুষ দিতে হয়, এই টাকা কি আমি আমার বেতন থেকে দেব?’

কথাগুলো শোনার পর নূর মোহাম্মদ নামের এই কর্মকর্তাকে দোষারোপ করা কঠিন। তিনি যা বলেছেন তা যদি সত্য হয়, তাহলে বুঝতে হবে সমস্যার উপরিতলটাই আমরা দেখছি কেবল। সমস্যার মূলটা আরও অনেক গভীরে অবস্থান করছে। লক্ষ করুন, স্কুলের এই টাকা জায়গামতো পৌঁছানোর আগে কোন কোন জায়গা স্পর্শ করছেন এই ঘুষখোর কর্মকর্তা। তিনি ট্রেজারি ও অডিট শাখায় ঘুষের কথা বলছেন। হিসাবরক্ষণ অফিস আর অডিট কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার জন্য তিনি শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ নেন। সত্যিই তো, ঘুষের টাকা কি তিনি তাঁর বেতন থেকে দেবেন?

স্বাভাবিকভাবে যে অর্থ স্কুলের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে, তা পাওয়ার জন্য ঘাটে ঘাটে ঘুষ দিতে হবে কেন? সরকারি চাকরির একটা অর্থ ছিল। এককালে বলা হতো, জনগণের সেবার জন্যই এই পদগুলো সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের করের টাকাতেই সরকারি অফিসগুলো চলে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদের জনগণের সেবক না ভেবে জনগণের মালিক ভেবে বসে আছেন। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের পথ আপাতত কি দেখা যাচ্ছে কোথাও?

যোগ করি। কিছুদিন আগে একজন গার্মেন্টস মালিক এক সভায় বলেছিলেন, ‘প্রতিটি জায়গায় আমাদের ঘুষ দিতে হয়। আপনারা (সরকারি কর্মচারীরা) কালকে ঘুষ বন্ধ করেন, আমরা পোশাকশ্রমিকদের বেতন বাড়িয়ে দেব। আমাদের মোট বিনিয়োগের কমপক্ষে ৫-৭ শতাংশ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঘুষ দিতে হয়।’ কথাগুলো শুনতে একই রকম লাগছে না? সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঘুষ দেওয়াটাই একটা বড় ঐতিহ্য। সরকারি কর্মকর্তাদের আয়ের একটা বড় উৎস যদি ঘুষ হয়ে থাকে, তাহলে তা সরকারের সব কৃতিত্ব ম্লান করে দিতে পারে। ভয়াবহ কথা হলো, এই ঘুষ সংস্কৃতি এতটাই শক্তিশালী যে, প্রকাশ্যে নিজেদের অসহায়ত্ব জানানোর পরও কেউ তা থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না। আমলাতন্ত্র দেশটাকে ঘুষের কাছে শৃঙ্খলিত করে রেখেছে—এ বড় মর্মান্তিক ব্যাপার।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ