যশোরের মনিরামপুরের রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ড নির্বাচনের ভোট আবার গণনা ও গেজেট স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। ঘোষিত ফলে কারচুপির অভিযোগ তুলে পরাজিত সদস্য প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত এই রায় দেওয়া হয়।
বিচারপতি মামনুন রহমান ও খন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ গত সোমবার এ আদেশ দেন।
গত ১ ডিসেম্বর পরাজিত সদস্য প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন উচ্চ আদালতে এই রিট আবেদন করেন। তিনি টর্চ লাইট প্রতীকে গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। মাত্র ৩ ভোটের ব্যবধানে তাঁকে হারিয়ে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী মেহেদী হাসানকে জয়ী ঘোষণা করার অভিযোগ করেছেন।
রিটের বিবাদীরা হলেন, নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান, রোহিতা ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ, রোহিতার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রোহিতা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মহিতোষ চক্রবর্তী ও বেসরকারিভাবে বিজয়ী ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান।
অভিযোগকারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মহিতোষ চক্রবর্তী প্রথমে বাতিল ভোট ৫০ দেখিয়েছেন। পরে সেখানে কাটাকাটি করে ৫৬ লিখেছেন। টিউবওয়েলের প্রার্থী মেহেদী হাসানের ভোট বাড়িয়ে দিতে তিনি আমার ৬টি ভোট বাতিল দেখিয়েছেন। এ ছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থীদের থেকে সদস্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১৭ ভোট বেশি কাস্টিং দেখানো হয়েছে এ কেন্দ্রে। সেই ১৭ ভোট কারচুপি করে টিউবওয়েলের প্রার্থীকে দিয়েছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মহিতোষ চক্রবর্তী।’
এ বিষয়ে রোহিতা ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘রোহিতা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের (৫ ও ৬ নম্বর) ভোটকেন্দ্রের ভোট গণনার আবেদন নিয়ে হাইকোর্টে রিট হওয়ার বিষয়টি জেনেছি। এখনো কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি।’