কোটচাঁদপুরে শাহানাজ পারভিন নামে এক নারীকে হাত, মুখ বাঁধা অচেতন অবস্থায় নর্দমা থেকে উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। উদ্ধারের পর তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
গতকাল শুক্রবার উপজেলার বড়বামনদহ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। শাহানাজ পারভিন একই গ্রামের কাতার প্রবাসী অহেদুল মণ্ডলের স্ত্রী।
শাহানাজ পারভিনের দেবর রিন্টু মণ্ডল জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে প্রতিবেশী উৎসব নামের একটি বাচ্চা পাশের একটি বাড়িতে পড়তে যাচ্ছিল।
এ সময় সে পাশের নর্দমা থেকে গোঙানির শব্দ শুনতে পায়। এরপর একটু কাছে গিয়ে শাহানাজ পারভিনকে ওই নর্দমায় পড়ে থাকতে দেখে।
পরে ওই বাচ্চা ভয়ে চিৎকার দিলে ছুটে আসে এলাকাবাসী। নর্দমা থেকে উদ্ধার করেন শাহানাজ পারভিনকে। এ সময় তাঁর হাত ও মুখ সাদা টেপ ও রশি দিয়ে বাধা ছিল।
স্থানীয়রা দ্রুত তাঁর শরীরের বাঁধন খুলে দিয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি না হওয়া কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে যশোরে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে শাহানাজ পারভিন যশোর আড়াই শ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় অনেকের সঙ্গে কথা বলে এর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে অনেকর ধারণা প্রাণে মেরে ফেলতে তাকে এভাবে হা, মুখ বেঁধে নর্দমায় ফেলে গেছে।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সুব্রত কুমার বিশ্বাস জানান, ‘তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে অবস্থা বেশি ভালো না। কারণ এখনো পর্যন্ত অচেতন অবস্থায় রয়েছে।
এ দিকে খবর পেয়ে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক ফরিদ হোসেন ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছেন কিছু আলামত। তবে এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঈন উদ্দিন জানান, ‘বর্তমানে শাহানাজ পারভিনের চিকিৎসা চলছে। তিনি কথা বলতে পারছেন না। কথা বললে জানা যাবে কি ঘটেছে। এরপর তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হতে পারে।’