সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়ের সূত্রে গড়ে ওঠে সম্পর্ক। এরপর সেই মেয়েবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় যান সোলায়মান হক (২৪)। তবে দেখা করতে গিয়ে জিম্মি হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে জিম্মি করে টাকা দাবি করা হয়। পরে তাঁর বন্ধু জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে গতকাল বুধবার সোলায়মানকে উদ্ধার করে পুলিশ।
গতকাল দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরের পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে এক যুবক ৯৯৯-এ ফোন করে জানান, তাঁর বন্ধু সোলায়মান মেয়ে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় গিয়েছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুর ফোন থেকে কল দিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। মুক্তিপণের টাকা পাঠানোর জন্য একটি বিকাশ নম্বর দিয়েছেন অপহরণকারীরা।
আনোয়ার সাত্তার বলেন, ভুক্তভোগীর বন্ধু জানান—টাকা না পাঠালে সোলায়মানকে মেরে ফেলার হুমকি দেন অপহরণকারীরা। যখন তাঁকে ফোন করা হয় তখন তাঁর বন্ধুকে মারধরের শব্দ শুনতে পেয়েছেন তিনি। জিম্মি হওয়ার আগে তাঁর বন্ধু তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর অবস্থানের গুগল ম্যাপ লোকেশন পাঠিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী তিনি পুলিশকে জানান, তাঁর বন্ধু আশুলিয়া থানার বাইপাইল ন্যাশনাল ব্যাংকের পেছনে একটি ভবনে জিম্মি আছেন।
সাত্তার আরও জানান, ৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে আশুলিয়া থানার একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পরে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক শ্যামলেন্দু ঘোষ ৯৯৯-এ জানান, তাঁরা আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার গাজীরচটের একটি বাড়িতে সোলায়মানের অবস্থান চিহ্নিত করেছেন। এরপর বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী সোলায়মানকে উদ্ধার করা হয়।
৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, এ সময় সোলায়মানকে জিম্মি করার অভিযোগে লিপি বেগম (২৭) ও সীমা বেগম (২৫) নামের দুজনকে আটক করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁদের দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করে তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।