আমিষের চাহিদা পূরণের অন্যতম খাদ্যপণ্য ডিম ও ব্রয়লার মুরগি। কম আয়ের মানুষেরও ভরসা এ দুটি পণ্য। তবে বাজারে এ পণ্যের দামেও লেগেছে ‘আগুন’। ইতিমধ্যে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম। হালি ৫২ টাকা। রেকর্ড না হলেও অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
লাগামহীন এ দামের কারণে খুলনার ফুলতলায় অনেকেই খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে বাধ্য হচ্ছেন ব্রয়লার মুরগি। ডিমও কিনছেন আগের চেয়ে পরিমাণে কম। চাল, ডাল, তেল, সবজির দামের পাশাপাশি ডিম ও মুরগির বর্ধিত দামে এখন নিরুপায় ক্রেতারা। সীমিত আয়ের ক্রেতারা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা এখন কী করবেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ফুলতলা বাজার থেকে এক হালি (চারটি) ডিম কেনেন জুট মিল শ্রমিক আজগর শেখ। তিনি জানান, দাম বাড়ার কারণে এক ডজন না কিনে তিনি এক হালি কিনেছেন ৫২ টাকায়। শুধু ডিম নয়, খরচ বাঁচাতে অন্য জিনিসের ক্ষেত্রেও একই রকম কাটছাঁট করছেন। এই বাজারের মিলন ব্রয়লার হাউস থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে ১ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি ব্রয়লার মুরগি কিনেছেন জসিম উদ্দিন।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ডিজেলের দাম বাড়লেও এক লাফে মুরগির দাম এত বাড়ার কোনো কারণ নেই। এক সপ্তাহ আগেও ১৫০ টাকার মধ্যে ব্রয়লার কিনতে পেরেছি। এমন কী ঘটল যে কেজিতে ৫০ টাকা বাড়াতে হবে?’ এ ব্যাপারে জামিরা বাজারের ব্যবসায়ী কুব্বাত আলী জানান, মুরগির বাচ্চা ও খাদ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় খামারে সব ধরনের মুরগির উৎপাদন কম হচ্ছে। করোনাকালীন লোকসানে এমনিতেই অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সরবরাহ কমে যাওয়ায় এ পণ্য দুটির দাম বেড়ে গেছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনার সহকারী পরিচালক শিকদার শাহিনুর আলম বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার তদারকি করি। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করলে জরিমানা করা হচ্ছে।’