ময়মনসিংহের জেলা পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান বলছেন, ‘গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে অনেক স্থানীয় বিরোধ মীমাংসা হয়। তবে মাথায় রাখতে হবে গ্রাম্য মাতব্বর বা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য, চেয়ারম্যানরা ধর্ষণের মতো ঘটনার বিচার করতে পারবেন না। এ জন্য থানা-পুলিশের সহায়তা নিতে হবে। ভুল করেও যদি এ ধরনের বিচার-সালিস কেউ করেন, তাহলে তা অপরাধ বলে গণ্য হবে।’
গত রোববার বিকেলে খাগডহরের বাহাদুরপুর আবাসন মোড়ে বিট পুলিশিং সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘মাদক হলো অপরাধের মা। মাদকের বিষয়ে পুলিশ জিরো টলারেন্সে। মাদকের বিষয়ে কোনো ছাড় নয়, এটি নির্মূলে দিনরাত কাজ করছে পুলিশ বাহিনী। পুলিশের কোনো সদস্য যদি অপকর্ম করে, এমনকি মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকে, তাঁদের পোশাক থাকবে না।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘পুলিশি সেবা কার্যক্রমকে প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেই বিট পুলিশিং। জনগণের সমস্যা এবং অভিযোগ সরাসরি বিটে কর্মরত কর্মকর্তাকে জানাতে পারে একজন ভুক্তভোগী। এখন থানায় না গিয়েও অনেকে জিডি বা অভিযোগ দিতে পারছেন কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন প্রমুখ।