কুড়িগ্রামের চিলমারীতে উপজেলা তথ্য ও সেবা কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনুপস্থিতির কারণে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মানুষ। হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর দেখিয়ে বেতন-ভাতা তুললেও কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও এক অফিস সহকারী মাসে মাত্র ৭-৮ দিন অফিস করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, জাতীয় মহিলা সংস্থা, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় উপজেলা তথ্যকেন্দ্রের অধীনে নারীদের মতায়ন প্রকল্প চালু করা হয়; যা ‘তথ্য আপা’ নামে পরিচিত। এই প্রকল্পের অধীনে উঠান বৈঠক, বিনা খরচে চাকরিসহ বিভিন্ন আবেদন, স্বাস্থ্যসেবাসহ নানা সুবিধা পাচ্ছেন নারীরা। কিন্তু সেবাপ্রার্থীরা জানান, দপ্তরে এলেও কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতির কারণে তাঁরা কোনো সেবা পাচ্ছেন না। তবে সাময়িক কিছু সেবা দিচ্ছেন অফিস সহকারী মো. রাজু মিয়া।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা তথ্য ও সেবা (ভার.) কর্মকর্তা মৌসুমি আক্তার ও অফিস সহকারী হাফিজা আক্তার বাড়িতে বসে কাগজে-কলমে নারীদের তালিকা সংগ্রহ করে তা সেবা প্রদান হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছেন। বিভিন্ন সময় সেবাগ্রহীতাদের এমন একটি তালিকায় নামভুক্তদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা তথ্য আপার কাছ থেকে কোনো সেবা পাননি বলে দাবি করেন।
উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের আয়শা বেগম, অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ডাটিয়ারচরের মল্লিকা বেগম ও সহিতন বেগম বলেন, ‘তথ্য আপা কী কী সেবা দেন, সেটিও আমাদের জানা নাই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় তথ্যসেবা কার্যালয়ে গিয়ে শুধু অফিস সহকারী রাজু মিয়া ছাড়া কোনো কর্মকর্তাকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে তথ্যসেবা কর্মকর্তা (ভার.) মোসুমি আক্তার জানান, তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে ছুটি নিয়েছেন।
অফিস সহকারী হাফিজা আক্তার মাঠে রয়েছেন বলে দাবি করেন। তবে তিনি কোথায় কোন এলাকায় আছেন, তা বলতে রাজি হননি হাফিজা।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আসমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘তথ্যসেবা কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে সরকারের উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মৌসুমি আক্তার গতকাল বৃহস্পতিবার কোনো ছুটি নেননি বলেও জানান তিনি।