হোম > ছাপা সংস্করণ

চাঁদাবাজি ছেড়ে এখন গোলাপ বিক্রি

রিমন রহমান, রাজশাহী

কিছুদিন আগেও পেট চালাতে রত্না আর প্রিয়া রাস্তায় রাস্তায় চাঁদা তুলতেন। তবে সেই পথ থেকে এখন ফিরে এসেছেন তাঁরা। দুজনই এখন গোলাপ ফুল বিক্রি করে নিজেদের পেট চালাচ্ছেন। রত্না ও প্রিয়া তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী। রাজশাহীতে তাঁদের বাড়ি।

সম্প্রতি নগরীর বড়কুঠি পদ্মাপাড়ে দুজনকেই গোলাপ ফুল বিক্রি করতে দেখা গেছে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন আইনজীবীরা। প্রিয়া ফুল হাতে সেখানে যেতেই কয়েকজন আইনজীবী ফুল কিনলেন। তাঁকে এ পেশায় দেখে খুশি হয়ে ফুলের দামের চেয়ে বেশি টাকা দেন আইনজীবীরা।

প্রিয়া রাজশাহীর দিনের আলো হিজড়া সংঘের সহসভাপতি। সংগঠনটি তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে চাঁদাবাজি ছেড়ে সমাজের মূল স্রোতোধারায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। সেই সংগঠনের সহসভাপতি প্রিয়া রাজশাহীতে ফুল বিক্রি করছেন দুই মাস ধরে। চার মাস আগে শুরুটা করেছিলেন দিনের আলোর সদস্য রত্না।

দুজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁরা এখন থাকছেন পরিবারের সঙ্গে। রত্নার বাড়ি বড়কুঠি এলাকায়। আর প্রিয়ার বাড়ি কালু মিস্ত্রির মোড় এলাকায়। আগে দুজনই তাঁদের জনগোষ্ঠীর দলের সঙ্গে টাকা আদায়ে নামতেন। কোনো বাড়িতে নবজাতকের জন্ম হলে সে বাড়ি থেকে সালামি নিয়ে আসতেন। মানুষ যে খুশি হয়ে টাকা দেন, তা নয়। এ বিষয়টিই অনুধাবন করেন রত্না। তাই চার মাস আগে বাড়ির পাশে সাহেববাজার থেকে ফুল কিনে বেচতে শুরু করেন পদ্মাপাড়ে।

প্রিয়া বলেন, ‘চাঁদা তুললে তো মানুষ খুশি মনে টাকা দেয় না। মানুষের অভিশাপ লাগতে পারে। আর এখন আমাদের ফুল বেচতে দেখে মানুষ খুশি হয়। ফুলের দামের চেয়ে কেউ কেউ বেশি টাকা দেন। আমরা একেকজন রোজ ৭০-৮০টি গোলাপ বিক্রি করি। যে লাভ হয়, তাতে আমরা ভালো আছি। আমরা আর চাঁদাবাজির পেশায় নামতে চাই না।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ