কমিউটার ট্রেনের রুট কমানোয় দুর্ভোগে পড়েছেন লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার রেলের যাত্রীরা। এ ঘটনায় রুট আগের নিয়মে রাখার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীরা।
লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগ জানায়, ১ মার্চ থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও রংপুরে চলাচল বন্ধ করে দিয়ে শুধু লালমনিরহাট-বুড়িমারী স্থলবন্দর রেলস্টেশন পর্যন্ত চলাচল করছে বুড়িমারী কমিউটার ট্রেন। এর আগে পার্বতীপুর থেকে কমিউটার ট্রেনটি প্রতিদিন ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে রংপুর, লালমনিরহাট হয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর পৌঁছাত সকাল ১০টায়। সেখানে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে পুনরায় বুড়িমারী, লালমনিরহাট, রংপুর হয়ে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বেলা সাড়ে ৩টায় পৌঁছাত।
কমিউটার ট্রেনটির রুট কমানোয় রংপুরের যাত্রীরা লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যাতায়াতে সমস্যায় পড়েছে। বিশেষ করে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার শিক্ষার্থীরা এ কমিউটার ট্রেনে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, কারমাইকেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে সুযোগ পেতেন। এ ছাড়া ভারতের চেন্নাই, শিলিগুড়িসহ অন্য শহরে চিকিৎসা নিতে বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনটি ব্যবহার করত যাত্রীরা।
অপর দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা যাতায়াতের পাশাপাশি প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী ট্রেনটিতে চলাচল করত। এসব কারণে কমিউটার ট্রেনটি গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থায় ট্রেনটির রুট কমে যাওয়ায় শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও রংপুরে চিকিৎসা নিতে যাওয়া মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুনতাহিনা মোস্তাজীর বলেন, ‘আমার বাড়ি পাটগ্রাম উপজেলায়। আমিসহ এখানকার বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনে যাতায়াত করতাম। অনেক দূরে বাসে যেতে সমস্যা হয়। তাই ট্রেনটি বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।’
বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী তোজাম্মেল হোসেন জানান, বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনটি এই স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীদের আসা-যাওয়ায় বেশ প্রয়োজনীয় একটি বাহন ছিল। ট্রেনটি বন্ধ হওয়ায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে ব্যবসায় নিয়োজিত রংপুর বিভাগের ব্যবসায়ীদের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ সুফী নুর বলেন, ‘রেলওয়ে বিভাগের সিদ্ধান্তে এটি করা হয়েছে। বুড়িমারী-লালমনিরহাট চলাচল ঠিক রাখা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।