চাঁপাইনবাবগঞ্জে টানা ১৫ দিন ধরে বেড়েছে ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। অতিরিক্ত রোগীর চাপ থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। এমন অবস্থায় নতুন বিড়ম্বনা যোগ হয়েছে হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে ছাগলের অবাধ বিচরণে।
রোগী ও স্বজনেরা বলছেন, ছাগলের মলমূত্র মাড়িয়ে তাঁদের ঢুকতে হচ্ছে। এমনকি খাবারেও ছাগল মুখ দিচ্ছে। বিষয়টি বারবার বলার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
গত রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ভেতরে, যেখানে মানুষের তিল ধারণের ঠাঁই নেই সেখানে বারান্দায় অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে বেশ কিছু ছাগল। যাচ্ছে ওয়ার্ডের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়।
সোনিয়া নামের এক ডায়রিয়া রোগীর স্বজন জানান, কনকনে শীতের মধ্যে হাসপাতালের ওয়ার্ডে জায়গা না পেয়ে বারান্দায় পাটি বিছিয়ে থাকতে হচ্ছে। এতে রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনেরাও শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে একটি সমস্যা হচ্ছে ছাগল। হাসপাতালের ওয়ার্ডে এবং বারান্দায় রোগীদের বিছানাপত্র এবং রোগীর খাবারেও মুখ দিচ্ছে ওসব ছাগল।
একরামুল হক নামের এক ডায়রিয়া রোগী জানান, ডায়রিয়া হলে সাধারণত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হয়; কিন্তু হাসপাতালের ভেতরে ছাগল প্রবেশ করে বিছানাতেও মলমূত্র ত্যাগ করছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাসুদ পারভেজ জানান, গেটম্যান না থাকায় প্রায়ই এ ঘটনাগুলো ঘটছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাগলের প্রবেশ বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।