হোক ঝিরিঝিরি বৃষ্টি অথবা ভারী বৃষ্টি—উভয় অবস্থাতেই মিরপুরের মণিপুরে জলাবদ্ধতা প্রকট হয়। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর কারণে রাতভর গত দুদিনের ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে মণিপুরের অলিগলি থেকে মূল রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্ব মণিপুর, আদর্শ রোড, সামদানি মোড়, বাবা হুজুরের মসজিদের গলিতে জলাবদ্ধতা তীব্র আকার ধারণ করেছে। জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় পয়োনালা দিয়ে বের হয়ে এসেছে ময়লা-আবর্জনা। এতে অফিসগামীরা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়ে যান।
মণিপুরের বাসিন্দা বেসরকারী চাকরিজীবী আব্দুল আজিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছে, এটা এমনিতেই বিরক্তিকর। এর মধ্যে আবার যোগ হয়েছে জলাবদ্ধতা। অফিসে যেতে-আসতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তা ছাড়া বাচ্চারাও স্কুলে যেতে সমস্যায় পড়ছে।’
মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী নাসিমা আক্তার বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টি হলেই এলাকা তলিয়ে যায়। সিটি করপোরেশন বারবার আশার বাণী শোনায়। কিন্তু কাজের কাজ তো কিছুই হচ্ছে না। জলাবদ্ধতা আমাদের সঙ্গী—এটা একরকম মেনেই নিয়েছি।’
এদিকে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা দূর করতে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসমাইল মোল্লা নিজেই কর্মচারীদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে ড্রেনের পরিছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেন। কিন্তু এতেও গতকাল সোমবার বিকেল পর্যন্ত জলাবদ্ধতা কমেনি। ইসমাইল বলেন, ‘কিছু দিন পর পর কর্মচারীরা এসব ড্রেন পরিষ্কার করে, কিন্তু তাতেও কাজ হয় না। সত্যি বলতে মানুষ যদি সচেতন না হয়, তবে জলাবদ্ধতা দূর হবে না।’ স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদা বলেন, ‘প্রতিটি গলিতেই দুর্গন্ধযুক্ত পানি জমে আছে। এসব পানি পায়ে লাগলে চর্মরোগ হবে।’