হোম > ছাপা সংস্করণ

দেশ ছেড়ে যাওয়া

অভিবাসনের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে গরিব দেশের মানুষেরা। এ ছাড়া ‘ব্রেইন ড্রেইন’ নামে একটি বিষয় রয়েছে, যেখানে গরিব দেশের তুখোড় মেধাবীদের অনেক বড় স্বপ্ন দেখিয়ে দেশছাড়া করে উন্নত দেশগুলো। আমাদের দেশ থেকেও অসংখ্য মানুষ বাইরে গিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার কথা ভাবেন।

বাংলাদেশ থেকে যাঁরা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানিতে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তাঁদের সবার জীবন সুখকর হয়ে ওঠে না। যেকোনো মূল্যে বিদেশে যেতে হবে—এ রকম মানসিক অবস্থা যাঁর হয়, তিনি দালালের খপ্পরে পড়তে পারেন। দেশে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ায় যাঁরা মরিয়া হয়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে চান, তাঁদেরও মূল আশ্রয় ওই দালালেরা। মূলত ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার করা হলেও দালালেরা যাত্রার মাঝপথে নিজেদের সহযোগিতা সরিয়ে নেয়। তখন দালালদের ইচ্ছের ওপর অভিবাসনপ্রত্যাশী মানুষের জীবন নির্ভর করে।
আজকের পত্রিকায় সোমবার প্রকাশিত একটি খবরে অভিবাসন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের করা গবেষণাপত্রের উল্লেখ করা হয়েছে। ১২টি অবৈধ পথে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করছেন, এ রকম তথ্যই তিনি দিয়েছেন। ১০০ জন ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এক বছর ধরে করা গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।

অন্য সব প্রশ্ন আপাতত আলোচনার বাইরে রেখে প্রথমে একটি মৌলিক প্রশ্ন করা দরকার—কেন মানুষ বিদেশে যেতে চায়? কেউ নিশ্চয়ই ‘ঘোরতে, ঠেলায়’ অভিবাসী হয় না। নিজের দেশে টিকে থাকার ন্যূনতম উপায় থাকলেই মানুষ মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে পছন্দ করে। কিন্তু যখন দেখা যায়, দেয়ালে ঠেকেছে পিঠ, তখন আর কোনো বিবেচনাই কাজ করে না। দালালদের হাতে নিজেকে সঁপে দেয় মানুষ।

আমাদের দেশে সৎ পথে টিকে থাকা খুবই কঠিন কাজ। দেশের সর্বত্রই অনিয়মের হাতছানি। এ অবস্থায় জীবনের অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয় মানুষ। যে চাকরি পাওয়া যায়, তাতে সংসার চালানো কষ্টকর। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য নেই। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় মন হয়ে ওঠে দোদুল্যমান। শিক্ষার মান দিনের পর দিন নিম্নমুখী হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় জ্ঞান সৃষ্টি হচ্ছে কম। এই ঘটনাগুলো বিবেচনা করলে বোঝা কঠিন নয়, কেন বিদেশে পাড়ি দেওয়ার ভাবনা আসে মনে।

নিজের দেশে পরিশ্রম করে খেটে আয়-উপার্জন করা সম্ভব হলে কেউ ভিনদেশে গিয়ে জীবনযাপন করতে ইচ্ছুক হয় না। মধ্যপ্রাচ্যে যে অদক্ষ শ্রমিকেরা যান, তাঁরাও দেশে সম্মানজনক উপার্জনের সুযোগ পেলে হয়তো ওমুখী হতেন না। কিন্তু সমস্যা হলো, দেশে যদি মানুষকে স্বাভাবিক বেঁচে থাকার গ্যারান্টি দেওয়া না যায়, তাহলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে নিঃস্ব মানুষের গন্তব্য আর কোথায় হতে পারে?

ঘুষমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত একটা দেশ গড়া হলে অভিবাসনের এই স্রোত থামত বলেই আমাদের বিশ্বাস।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ