জোড়া লাগানো দুই শিশুকে ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর আলাদা করা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাদের প্রজনন অঙ্গ ও মলদ্বার খুব কাছাকাছি থাকায় এখনই অপারেশন করলে একটি শিশুর শরীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। গতকাল সোমবার প্রথম ধাপের অস্ত্রোপচার শেষে এ কথা বলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরা।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. আশরাফ উল হক কাজল বলেন, পুরোপুরি আলাদা করা সম্ভব হয়নি জোড়া শিশু লাবিবা-লামিসাকে। ঝুঁকি এড়াতে আরেকটি ধাপে তাদের আলাদা করা হবে। সে জন্য ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগবে।
ডা. কাজল বলেন, শিশু দুটির যোনিদার ও মলদ্বার খুবই কাছাকাছি। তাই এখনই আলাদা করতে গেলে লামিসার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে। এজন্য আজকে (সোমবার) অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেখানে সিলিকন বল স্থাপন করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে সেই বলে স্যালাইন পুশ করে ফুলিয়ে সেখানকার টিস্যুগুলোকে প্রসারিত করা হবে।
মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বলেন, ৩২ জন চিকিৎসক অস্ত্রোপচারে ছিলেন। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় অস্ত্রোপচার। এই অস্ত্রোপচারে ন্যূনতম ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম ধাপের অস্ত্রোপচার শেষ হয়।
২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল জন্ম হয় লাবিবা ও লামিসার। তারা নীলফামারীর জলঢাকার যদুনাথপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার মেয়ে। জন্মের ৯ দিন পর তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সবশেষ ২৮ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয় তাদের।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০১৭ সালে জোড়া লাগানো শিশু তোফা-তহুরা ও ২০১৯ সালে রাবেয়া-রোকাইয়াকে আলাদা করা হয়।