হাসপাতালের বিছানায় শোয়া মো. আলী আহমেদ তাঁর তিন বছর বয়সী ছেলেকে ডাক দিলেন। ছেলে মো. রাশেদ তাঁর থেকে একটু দূরে মায়ের কোলেই ছিল। মা রাশেদকে বিছানার এক পাশে রেখে তাঁর স্বামীকে বললেন, ‘রাশেদ তো তোমার পাশেই’। এবার বাবা আশপাশে দুই হাত দিয়ে খুঁজছিলেন তাকে। কারণ, দুই চোখ থেকেও তিনি যে অন্ধ! সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের পর থেকে তিনি দুই চোখে দেখেন না। মাঝেমধ্যে দেখলেও ঝাপসা দেখেন। ছেলেকে জড়িয়ে ধরে তাই আলীর আক্ষেপ, ‘বাবা, তোকে কবে দেখব?’
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর আহত হন মো. আলী আহমেদ। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ও হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের ১০ নম্বর বিছানায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনার ১১ দিন হতে চললেও তিনি এখনো পুরোপুরি দেখতে পান না। তাঁর দুই চোখ ছাড়াও অণ্ডকোষ, পা ও মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
আলীর বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ এলাকায়। তিনি কনটেইনার ডিপোতে পাঁচ বছর ধরে চালক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, ঘটনার দিন ডিপো থেকে তিনি ৫০০ গজ দূরে ছিলেন। আগুন লাগার পর দেখতে গিয়ে তিনি আহত হন।