নীলফামারীর ডিমলায় ঠিকাদার সড়কের কাজ শেষ না করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বারবার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও কাজ শেষ করার বিষয়ে অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে ওই সড়কের ভাঙা কালভার্টে পড়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এলাকাবাসীর দাবি, অনতিবিলম্বে শেষ করা হোক সড়ক সংস্কারের কাজ। তা না হলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। অন্যদিকে ঠিকাদার শাহ আনোয়ার বলেন, ‘আমি ব্যস্ত থাকায় কাজটি আমার এক আত্মীয়কে দিয়েছি। তাই কাজটির বিষয়ে এখনো কিছু জানি না।’
জানা যায়, ডিমলা বিজয় চত্বর থেকে ডোমার উপজেলার সংযোগ সড়ক প্রশস্ত ও পুনঃসংস্কারের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে নীলফামারী এলজিইডি প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করে। সর্বনিম্ন দরদাতা হওয়ায় কাজটি পায় শাহ আনোয়ার নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
অভিযোগ রয়েছে, শুরু থেকে ঠিকাদার কাজটি নিয়ে অবহেলা করে আসছে। একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠান কাজটি সাব-কন্ট্রাক্ট দিয়ে সটকে পড়ে। কাজ শুরুর পর রাস্তা প্রশস্তকরণে ১৮ ফুট নির্ধারিত হলেও পরে তা সংকুচিত হয়। এ ছাড়া একটি কালভার্ট অর্ধেক ভেঙে রেখে দেওয়া হয়। আর ওই জায়গায় প্রায় পাঁচ ফুট গর্তের সৃষ্টি হয়। কালভার্টের রডগুলো খাঁড়াভাবে উন্মুক্ত হয়ে আছে। সেতুর ভাঙা অংশের বিপরীতে আছে একটি বিদ্যুতের খুঁটি। এ অবস্থাতেই ওই সড়ক দিয়ে রিকশা–ভ্যান, নসিমন, ইজিবাইক, ট্রাক-বাস ও পিকআপ চলাচল করছে। ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা।
ডিমলা উপজেলা প্রকৌশলী মো. শফিউল ইসলাম জানান, ঠিকাদারকে কাজ শেষ করতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি সময়ও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।