কুমারখালীর সফল চাষি আবু শাহিনের আখখেত পরিদর্শন করছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মণ্ডল। গত বুধবার বিকেলে তিনি পরিদর্শনে যান। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম, সাংবাদিক ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে ইউএনও বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, ‘কুমারখালীর মাটি কৃষি উপযোগী। সে জন্যই ফিলিপাইন আখ চাষে শাহিনের ভাগ্যবদল হয়েছে। শাহিনের দেখাদেখি অনেকে আখ চাষে আগ্রহ দেখিয়েছে। কৃষকদের চাষাবাদে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিস সর্বদা পাশে থাকবে।’
উল্লেখ্য যে, মাত্র তিন বছর আগেও ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানিতে চাকরি করতেন আবু শাহিন (৩৫)। চাকরির সুবাদে একবার ঝিনাইদহ জেলায় গিয়েছিলেন তিনি। পথিমধ্যে কালো আখে নজর পড়েছিল তাঁর। এরপর স্বাদে খুশি হয়ে শখের চাষে আগ্রহ হয় তাঁর। মাত্র তিন হাজার টাকার বীজ কিনে পাঁচ শতক জমিতে শুরু করেন ফিলিপাইন গান্ডারী (আখ) চাষ। এরপর তাঁকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
বর্তমানে ছয় বিঘা জমিতে তিনি এই আখের চাষ করছেন। প্রতিবছরে উপার্জন করছেন লাখ লাখ টাকা।
এ ছাড়া আবু শাহিনের দেখাদেখি ওই এলাকায় অন্তত ২০ জন শুরু করেছেন আখের চাষ।
আবু শাহিন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খাঁ পাড়া এলাকার নজিম উদ্দিন খাঁর ছেলে।
এ বিষয়ে সফল ফিলিপাইন আখচাষি আবু শাহিন বলেন, ‘বিঘা প্রতি বছরে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর প্রায় চার লাখ ৮০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করি। বর্তমানে ছয় বিঘা জমিতে বছরে প্রায় আড়াই থেকে তিন লাখ টাকার খরচ হয়। আর ২৫ থেকে ২৮ লাখ টাকার আখ বিক্রি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার আজকের পত্রিকায় শাহীনের আখ চাষের সফলতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়।