পানির সমস্যা কাটেনি হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। গত দুই দিনের মতো গতকাল শনিবারও হাসপাতালজুড়ে পানির তীব্র সংকট দেখা গেছে। ওয়াসার ট্যাংক থেকে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করা গেলেও গোসল ও টয়লেটে পানির সমস্যা ছিল আগের মতোই। এতে ভোগান্তির চরম মাত্রা দেখছেন সেবা নিতে আসা হাজারো মানুষ।
গতকাল দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের ট্যাপের কয়েকটিতে পানি থাকলেও নেই অধিকাংশেরই। শৌচাগারগুলোতে ময়লা আর দুর্গন্ধে টেকার উপায় নেই। হাসপাতালের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০০-এর বেশি রোগী থাকলেও শৌচাগার মাত্র একটি। এর মধ্যে আবার তিনটিতে পানি না থাকায় টয়লেটের ওপরই পড়ে আছে মল, জমে আছে পানি। যেগুলো থেকে তীব্র গন্ধ ছড়াচ্ছে। বর্তমানে ৩০০ রোগীর জন্য বাথরুম আছে মাত্র পাঁচটি। ফলে একজন ভেতরে থাকলে বাইরে অপেক্ষা করতে হয় ৮-১০ জনকে।
ঝিনাইদহ থেকে আসা লিপি আক্তারের বোন হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি প্রায় দুই সপ্তাহ। গোসল করতে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে লিপি।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এটা হাসপাতালের পরিবেশ হতে পারে না। তিন দিন ধরে এই সমস্যা, এখনো ঠিকমতো পানি আসছে না। একটু আসে আবার নাই, পানি ঠিকমতো না আসায় গোসলে অনেক সময় লাগছে। ময়লা আর পায়খানার দুর্গন্ধে নিজেই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। দেখার কেউ নেই।’
অন্যদিকে, হাসপাতালের বাইরে রাখা ওয়াসার ট্যাংক থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে খাওয়ার পানি। সেখানেও হুড়োহুড়ি। রোগীদের অভিযোগ, বারবার জানালেও কেউই তাঁদের কথা শুনছেন না। ময়লা জমে আছে, কেউ পরিষ্কার করছে না। এমন হতে থাকলে এমনিতেই আরও অসুস্থ হবে মানুষ।
নার্স শুবরা রানী নাথ বলেন, পানি না থাকায় বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নারী ও শিশুদের।
হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যবস্থা কিছু নেওয়া হয়েছে। সংকট যেহেতু কাটেনি, তাই কীভাবে পানির সরবরাহ বাড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ওয়াসার মূল লাইনের সঙ্গে কীভাবে সংযোগ করা যায়, তা নিয়ে কথা হচ্ছে।