কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত না মেনে কমিটি গঠনের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠছে বরিশাল নগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে।
গত রোববার রাতে নগরের ৩০টি ওয়ার্ড কমিটি গঠনে পৃথক ৭টি সাংগঠনিক দল গঠন করা হয়। কমিটি গঠনে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার বাবুল ও সদস্য আফরোজা খানম নাসরিন। রোববার রাতে দলীয় কার্যালয়ে নাসরিনের সঙ্গে আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবিরের প্রকাশ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়।
নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার বলেন, ‘কোথায়, কীভাবে গঠন করা হয়েছে আমিও জানি না। গত ৩ নভেম্বর আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর কাগজপত্রে আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের স্বাক্ষরে সাংগঠনিক সব কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। রোববার রাতে এক সভার খবর পেয়ে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে দেখতে পেলাম ওয়ার্ড কমিটি গঠনে সাংগঠনিক টিমের চিঠি বিতরণ হচ্ছে। কমিটিতে স্বাক্ষরের বিষয়ে জানতে চাইলে আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব বলেন, আপনার স্বাক্ষরের প্রয়োজন নেই।’
আফরোজা খানম বলেন, ‘আমাকে কোনো টিমে রাখা হয়নি। এ পর্যন্ত আমি ৯ বার গ্রেপ্তার হয়ে মোট ৩ বছর জেল খেটেছি, ৩৭টি মামলার আসামি হয়েছি। যাঁদের টিম লিডার করা হয়েছে, তাঁরা আহ্বায়ক কমিটি গঠনের আগের ১০ বছরে দলীয় কোনো কার্যক্রমে ছিলেন না। ওয়ার্ড নেতাদের ঠিকমতো চেনেন না ওইসব নেতা।’ তাঁর অভিযোগ, টিমে না রাখার কারণ জানতে চাইলে তাঁকে সদস্যসচিব জানান, তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে তাঁদের বিরুদ্ধে নালিশ করেছেন। তাই রাখা যাবে না।
আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সম্প্রতি আমার বাসায় টিম গঠন নিয়ে সভা হয়। ওই সভায় আলী হায়দার বাবুল যাননি। তাই তাঁর নামও রাখা হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সদস্য নাসরনিকে আচরণের কারণে কমিটির সদস্যরা দেখতে পারেন না।’