বলা হয়, বড় হতে হলে নাকি বিনয়ী হতে হয়। তবে সব সময় ও সবার ক্ষেত্রে এই কথা প্রযোজ্য নাও হতে পারে। কখনো কখনো দাম্ভিকতা সফল ব্যক্তিত্বদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হয়ে উঠতে পারে। আবার একজন ব্যক্তি যে সব ক্ষেত্রে দাম্ভিক হবেন, সেটিও নয়। স্থান, কাল ও পরিবেশের ওপর নির্ভর করে একজন দাম্ভিক বা বিনয়ী হতে পারেন।
ক্রীড়াবিদদের ক্ষেত্রেও এই কথা সমান প্রযোজ্য। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কিংবা শেন ওয়ার্নের মতো তারকাদের ক্ষেত্রবিশেষে দাম্ভিক মনে হতে পারে। তবে তাঁদের উদারতা ও বিনয়ের উদাহরণও কম নেই।
এরপরও ভক্ত-সমর্থকদের মনে খেলোয়াড়দের নিয়ে একটা বিশেষ ধারণা তৈরি হয়। প্রিয় খেলোয়াড়কে নিয়ে ভক্তদের ধারণা যে সব সময় সঠিক, তাও না। একজন খেলোয়াড় যখন খ্যাতির চূড়া স্পর্শ করেন, তাঁকে ঘিরে নানা ধরনের গল্প-গুঞ্জন তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। মানুষ যেহেতু তারকাদের কাছাকাছি যেতে পারে না বা অনেক দূরে থাকে, তারা তাই নিজেদের মতো করেই চিত্রটা বানিয়ে নেয়। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ‘গিভ মি স্পোর্টস ডটকম’ নামের ক্রীড়াভিত্তিক একটি পোর্টাল ভক্তদের ভোটে তৈরি করেছেন দাম্ভিক খেলোয়াড়দের তালিকা। যে তালিকায় শীর্ষ স্থানে আছেন বক্সিং তারকা ফ্লয়েড মেওয়েদার। তালিকার দুইয়ে থাকা ক্রীড়াবিদও বক্সিংয়ের। তিনি আর কেউ নন, সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রীড়াবিদদের একজন মোহাম্মদ আলী।
ক্রীড়া দুনিয়া আলোকিত করা বেশ কিছু রথী-মহারথীও আছেন এই তালিকায়। ১৪ নম্বরে গলফ কিংবদন্তি টাইগার উডস, ১৬ নম্বরে সাইক্লিং সুপারস্টার ল্যান্স আর্মস্ট্রং, ১৫ নম্বর প্রয়াত কোবি ব্রায়ান্ট এবং ২৬ নম্বরে আছেন কিংবদন্তি উসাইন বোল্ট।